স্বরণকালের সবচেয়ে বড় ধর্মঘটে ব্রিটিশ কর্মচারীরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৪২ আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৫০

বেতর বৃদ্ধির দাবিতে শিক্ষক, বেসামরিক কর্মচারী, ট্রেন ড্রাইভার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকসহ প্রায় ৫ লাখ ব্রিটিশ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যুক্তরাজ্যজুড়ে স্বরণকালের সবচেয়ে বড় সমন্বিত ধর্মঘট পালন করছেন।
|আরো খবর
ব্রিটিশ ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেস (টিইউসি) অনুসারে, প্রায় ৩ লাখ শিক্ষক বুধবার ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন। এর ফলে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের প্রায় ২৩ হাজার স্কুল সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়ন।
অন্যদিকে যাদুঘরের কর্মী এবং লন্ডনের বাস ড্রাইভার, নার্স এবং অ্যাম্বুলেন্স কর্মী থেকে শুরু করে কোস্টগার্ড এবং বিমানবন্দরে পাসপোর্ট কন্ট্রোল বুথ পরিচালনাকারী সীমান্ত কর্মকর্তারা ধর্মঘটে রয়েছেন।
ইউনিয়নের নেতারা বলছেন, সরকার শিক্ষকদের জন্য ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি প্রস্তাব করেছে। তবে এটি আকাশচুম্বী জীবনযাত্রার ব্যয় ও দ্রব্যমূল্যে সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হিমসিম খেতে হচ্ছে কর্মীদের।
টিইউসি বলেছে, গড় সরকারী সেক্টরের কর্মী মাসে ২০৩ পাউন্ড মজুরি পান, যা বর্তমান মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় অত্যন্ত কম।
অনেক শিক্ষক বলছেন, আমরা ২০২৩ সালে এসে জীবনযাত্রার ব্যয় বহন করতে পারি না কারণ আমাদের মধ্যে অনেকেই এখনও এক দশক আগে যা উপার্জন করছিল তা উপার্জন করছি।
এদিকে ব্রিটিশ শিক্ষামন্ত্রী গিলিয়ান কিগান বুধবার বলেছেন, কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া অপরিবর্তিত রয়েছে কারণ উচ্চ মজুরি বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
অন্যদিকে বুস্টেড স্কাই নিউজের সাক্ষাতকারে ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়নের প্রধান মেরি বুস্টেড সরকারকে ২৭ দিনের একটি আল্টিমেটাম দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা চাই এটি একটি একদিনের ধর্মঘট হোক এবং আমি সরকারকে বলব, পরবর্তী ধর্মঘট পর্যন্ত ২৭ দিন সময় দেয়া হল। এই ২৭ দিনে যেকোন সময় আমাদের সাথে আলোচনা করতে পারেন, আমরা এটি করতে প্রস্তুত।
সূত্র: আলজাজিরা
বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর