ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

চুল বিক্রি করে বছরে আয় ১৫০ কোটি টাকা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:২৮  
আপডেট :
 ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৩৯

চুল বিক্রি করে বছরে আয় ১৫০ কোটি টাকা
ছবি - সংগৃহীত

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালায় অবস্থিত শ্রী ভেক্টেশ্বর স্বামী মন্দির তথা তিরুপতি বালাজির মন্দিরে প্রতিদিন হাজার হাজার পুণ্যার্থী ভিড় জমান।

পূজা দেন, ইচ্ছাপূরণ হলে চুল কেটে দান করেন। আর এই চুল বিক্রি করেই বছরে বিরাট ব্যবসা করে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

তিরুপতি মন্দিরেই ভক্তরা বেশি চুল দান করেন। তার কারণও রয়েছে। বলা হয়, এই মন্দিরে ভক্তরা যত চুল দেন, ঈশ্বর তার ১০ গুণ বেশি সম্পত্তি ফিরিয়ে দেন তাকে।

কথিত রয়েছে, তিরুপতি মন্দিরে চুল দিলে সন্তুষ্ট হন লক্ষ্মী। তাই এখানে শুধু পুরুষ নন, নারীরাও ইচ্ছাপূরণে চুল দান করেন।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, এই মন্দিরে বছরে ৫০০ থেকে ৬০০ টন চুল দেন ভক্তেরা। কেটে ফেলা সেই চুল প্রথমে গরম জলে ফোটানো হয়। তারপর তা সাবান দিয়ে ধুয়ে শুকানো হয়। এরপর একটি গুদামে রাখা হয়। সেই গুদামের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে চুল সংরক্ষণ করা হয়। প্রথম ভাগে পড়ে ২৭ ইঞ্চির বেশি লম্বা চুল। দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে ১৯ থেকে ২৬ ইঞ্চি দীর্ঘ চুল। তৃতীয় থাকে ১০ থেকে ১৮ ইঞ্চি লম্বা চুল। চতুর্থ ভাগে রাখা হয় পাঁচ থেকে নয় ইঞ্চি লম্বা চুল। পাঁচ ইঞ্চির কম দৈর্ঘ্যের চুল রাখা হয় পঞ্চম ভাগে।

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথম ভাগের চুল প্রতি কেজি ২৯০০ থেকে ৩০০০ টাকায় বিক্রি হয়। দ্বিতীয় ভাগের চুল বিক্রি হয় ২৬০০ টাকা কেজি দরে। আর পঞ্চম ভাগের চুল বিক্রি হয় কেজি প্রতি ৩৬ টাকা দরে। সেই চুল অনলাইনে নিলাম করা হয়।

এভাবে চুল বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় করে মন্দির কর্তৃপক্ষ। ক্রেতা আসে চীন, আমেরিকা, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে।

এই মন্দিরে প্রত্যেক ভক্তের মাথা কামানোর জন্য নাপিতরা পান ১১ টাকা। তবে ভক্তরা খুশি হয়ে অনেক সময় তাদের অতিরিক্ত টাকা দেন। নাপিতদের অভিযোগ, সেই টাকা নিয়ে নেয় মন্দিরের নিরাপত্তারক্ষীরা।

সংবাদমাধ্যমের খবর, প্রতি বছর ভক্তদের দান করা চুল বিক্রি করে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা আয় করে তিরুপতি মন্দির কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত