ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সূর্যের ভূপৃষ্ঠ থেকে বিচ্ছিন্ন বিশাল অংশ, তৈরি হল ঘূর্ণিঝড়ও

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৪৯  
আপডেট :
 ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:০২

সূর্যের ভূপৃষ্ঠ থেকে বিচ্ছিন্ন বিশাল অংশ, তৈরি হল ঘূর্ণিঝড়ও
সূর্য। ছবি: সংগৃহীত

সূর্যের ভূপৃষ্ঠ থেকে একটি বিশাল অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে নক্ষত্রটির উত্তর মেরুর চারপাশে ঘূর্ণিঝড়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে গত সপ্তাহে এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা গেছে। এই ঘটনায় বিস্মিত জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। কী কারণে এমন হল, তা বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছেন তারা।

সম্প্রতি এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে টুইট করেছেন ট্যামিথা স্কোভ। মহাকাশের আবহাওয়া নিয়ে পূর্বাভাস দেয়াই তার পেশা। সূর্যের গা থেকে রশ্মির বিকিরণের ফলে অনেক সময়ই পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রভাবিত হয়।

নিজের টুইটে ট্যামিথা লিখেছেন, একেই বলে ‘পোলার ভর্টেক্স’। সূর্যের উত্তর মেরুর প্রধান ফিলামেন্ট থেকে একটা বড়সড় অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং সেই জায়গায় একটি ঘূর্ণিঝড়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানটি যে স্থির নয় বরং ঘূর্ণায়মান তাও জানিয়েছেন ট্যামিথা।

অন্য একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, এই ‘সোলার পোলার ভর্টেক্স’-এর আরও পর্যবেক্ষণের পর জানা গেছে, সেই ঝড়ের মতো উপাদানটি সূর্যের উত্তর মেরুর প্রায় ৬০ ডিগ্রি অক্ষাংশ প্রদক্ষিণ করতে প্রায় ৮ ঘণ্টা সময় নিয়েছে। এর অর্থ, এ ক্ষেত্রে অনুভূমিক হাওয়ার গতি মোটামুটি ভাবে প্রতি সেকেন্ডে ৯৬ কিলোমিটার।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর দুই মেরুস্থানেই একটি বিশাল জায়গা জুড়ে নিম্নচাপ রয়েছে। সাধারণ ভাবে বললে, ঠান্ডা হাওয়া ঘড়ির উল্টো দিকে ঘূর্ণন করলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাকে ‘পোলার ভর্টেক্স’ বলা হয়। সাধারণত, গ্রীষ্মকালে এটি দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে শীতে এর শক্তি বৃদ্ধি পায়। এই ঘটনায় হতবাক জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমস্ফেরিক রিসার্চ-এর সৌর-পদার্থবিদ স্কট ম্যাকইনটশ। মহাকাশ বিষয়ক প্রত্রিকা ‘স্পেস ডট কম’ কে জানিয়েছেন, বহু দশক ধরে সূর্যের পর্যবেক্ষণ করছেন তবে এ ধরনের দৃশ্য তিনি কখনও দেখেননি।

নাসা জানিয়েছে, সূর্যের বর্হিপৃষ্ঠ ঘিরে এই অতি উজ্জ্বল ‘ঘূর্ণিঝড়’ ঘুরছে। যদিও এ নিয়ে আরও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন বলে মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: আনন্দবাজার

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত