ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুরনো আইফোনের দাম উঠল ৬৩ লাখ টাকা!

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:৩৮  
আপডেট :
 ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:৪৫

পুরনো আইফোনের দাম উঠল ৬৩ লাখ টাকা!
৬৩ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়া আইফোন। ছবি: সংগৃহীত

মুখবন্ধ প্যাকেটে ১৬ বছর ধরে বাক্সবন্দি হয়ে পড়েছিল প্রথম সিরিজের একটি আইফোন। সেই ফোনের দাম সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে বেশি দামের আইফোনকেও টেক্কা দিল। নিলামে এই ফোনের যে দর উঠেছে অত দামে আগে কখনও বিক্রি হয়নি কোনও আইফোন। একটি মার্কিন নিলামঘর থেকে ওই ফোনটি কেনা হয়েছে ৬৩ হাজার ৩৫৬ ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য ৬৩ লাখ টাকারও বেশি।

বহুমূল্য এই আইফোনটির মালিক ছিলেন নিউ জার্সির এক ট্যাটু শিল্পী। নাম ক্যারেন গ্রিন। তবে ক্যারেন ফোনটি কেনেননি। ২০০৭ সালে ক্যারেনকে ফোনটি উপহার দিয়েছিলেন তার এক প্রিয়জন। ক্যারেন তখন সদ্য নতুন চাকরি পেয়েছেন। ফোনটি ছিল সেই সাফল্যেরই পুরস্কার। কিন্তু ক্যারেন সেই আইফোনের বাক্সটি খুলতে পারেননি।

নিলামঘরটি জানিয়েছে, মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যার জন্যই সেই ফোন ব্যবহার করতে পারেননি তিনি। ক্যারেন নিউ জার্সির ভারিজন ফোন লাইন নেটওয়ার্ক পরিষেবা সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করে ফেলেছিলেন। আর আইফোন সেই সময় শুধু ‘এটি অ্যান্ড টি’ টেলি যোগাযোগ পরিষেবাই পাওয়া যেত। ফোনে যদি নেটওয়ার্কই না থাকে, তবে ফোন নিয়ে কী লাভ! এই ভেবেই ফোনটি আর খোলেননি ক্যারেন। তার পর থেকে সেটি নতুন অবস্থায় বাক্সবন্দি হয়েই পড়ে থেকেছে।

আইফোনের মালিক ক্যারেন অবশ্য প্রথমেই ফোনটি নিলামে তোলার কথা ভাবেননি। বরং অনেক আগেই বিক্রি করে দেবেন ভেবেছিলেন। কারণ ট্যাটু স্টুডিও বানানোর জন্য টাকার দরকার ছিল তার। কিন্তু বছর কয়েক আগে তিনি জানতে পারেন, তারই মতো একটি প্রথম জমানার আইফোনের দাম নিলামে ৪০ হাজার ডলার উঠেছে। অর্থাৎ ৪০ লাভ টাকা। এর পরেই ক্যারেন ঠিক করেন তিনিও তার আইফোন বিক্রি না করে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করবেন এবং নিলামে তুলবেন।

গত অক্টোবরেই আমেরিকার এলসিজি নিলামঘরের সঙ্গে কথা বলেন ক্যারেন। গত ২ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি নিলামের জন্য রাখা হয় ফোনটিকে। আড়াই হাজার ডলারে শুরু হয় দরদাম। শেষে ফোনটির আসল দামের ১০০ গুণ দরে বিক্রি হয় আইফোনটি।

স্টিভ জোবস ১৬ বছর আগেই ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম আইফোন আনেন বাজারে। প্রথম জমানার সেই আইফোনের দাম ছিল ৫৯৯ ডলার। অর্থাৎ, আজকের হিসাবে বাংলাদেশি টাকায় ৬০ হাজার টাকা। প্রায় সাড়ে তিন ইঞ্চি দীর্ঘ পর্দা বিশিষ্ট ওই ফোনে ছিল ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এবং ৪ জিবি বা ৮ জিবি স্টোরেজ।

সূত্র: আনন্দবাজার

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত