ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

চীনের শান্তি প্রস্তাব ইউক্রেন যুদ্ধ নিষ্পত্তির ভিত্তি হতে পারে: পুতিন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩, ১১:৫১

চীনের শান্তি প্রস্তাব ইউক্রেন যুদ্ধ নিষ্পত্তির ভিত্তি হতে পারে: পুতিন
ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের জন্য চীনের শান্তি পরিকল্পনা যুদ্ধের অবসানের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে পরিকল্পনাটি তখনই এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে যখন পশ্চিম এবং কিয়েভ সেজন্য প্রস্তুত হবে, বলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকের পর পুতিন এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

গত মাসে প্রকাশিত চীনের পরিকল্পনায় স্পষ্টভাবে রাশিয়াকে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়নি। ১২টি পয়েন্ট তালিকাভুক্ত করে পরিকল্পনায় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব ছাড়াই শান্তি আলোচনা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধার আহ্বান জানানো হয়।

কিন্তু ইউক্রেন যেকোনো আলোচনার শর্ত হিসেবে রাশিয়াকে তার ভূখণ্ড থেকে প্রত্যাহার করার ওপর জোর দিয়েছে- এবং রাশিয়া সেটি করতে প্রস্তুত এখন পর্যন্ত এমন কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সোমবার বলেন, রাশিয়া প্রত্যাহার করার আগে যুদ্ধবিরতির আহ্বান ‘কার্যকরভাবে রাশিয়ার বিজয়ের অনুমোদনকে সমর্থন করবে’।

শির সাথে আলোচনা শেষ হওয়ার পরে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ইউক্রেনের সংঘাতের নিষ্পত্তির ভিত্তি হিসাবে চীনা শান্তি পরিকল্পনার অনেক বিধান গ্রহণ করা যেতে পারে, যখনই পশ্চিম এবং কিয়েভ এর জন্য প্রস্তুত হবে’।

তবে রাশিয়া এখনও অন্য দিক থেকে এমন ‘প্রস্তুতি’ দেখতে পায়নি, তিনি যোগ করেছেন।

রুশ নেতার পাশে দাঁড়িয়ে শি বলেন, তার সরকার শান্তি ও সংলাপের পক্ষে এবং চীন ‘ইতিহাসের ঠিক দিকে’ রয়েছে।

তিনি আরও দাবি করেন যে, ইউক্রেনের সংঘাতের বিষয়ে চীনের একটি ‘নিরপেক্ষ অবস্থান’ রয়েছে।

এই জুটি দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য, শক্তি এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেন।

চীন রাশিয়ার প্রধান বৈদেশিক বাণিজ্য অংশীদার, পুতিন বলেন, গত বছর অর্জন করা বাণিজ্যের ‘উচ্চ স্তর’ বজায় রাখার এবং অতিক্রম করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে।

এর আগে, শি চীন এবং রাশিয়াকে ‘মহান প্রতিবেশী শক্তি এবং ব্যাপক কৌশলগত অংশীদার’ বলে অভিহিত করেন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মতে, দুই নেতা আরও:

○ একটি অর্থনৈতিক সহযোগিতার পরিকল্পনার বিশদ বিবরণ এবং একটি রাশিয়া-চীন অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার পরিকল্পনার বিষয়ে দুটি যৌথ নথিতে সই করেন ।

○ মঙ্গোলিয়া হয়ে চীনে রাশিয়ান গ্যাস সরবরাহের জন্য সাইবেরিয়ায় একটি পরিকল্পিত পাইপলাইনে একটি চুক্তিতে পৌঁছেন।

○ সম্মত যে পারমাণবিক যুদ্ধ ‘কখনোই শুরু করা উচিত নয়।

○ অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি- নতুন আউকুস চুক্তিতে তাদের উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করেন।

○ সামরিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে’ এশিয়ায় ন্যাটোর ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের পর চীন ও রাশিয়ার একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব একটি ‘সামরিক-রাজনৈতিক জোট’ গঠন করে না।

সেখানে বলা হয়, তাদের সম্পর্ক ‘একটি ব্লক গঠন করে না, এর প্রকৃতি দ্বন্দ্বমূলক নয় এবং তৃতীয় দেশের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয় না। সূত্র: বিবিসি.

বাংলাদেশ জার্নাল/সামি /এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত