ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

সরবরাহের তুলনায় পানির চাহিদা ৪০ শতাংশ বাড়বে: জাতিসংঘ মহাসচিব

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩, ১৩:৩২

সরবরাহের তুলনায় পানির চাহিদা ৪০ শতাংশ বাড়বে: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, চলতি দশকের শেষ দিকে পানি সরবরাহের তুলনায় চাহিদা ৪০ শতাংশ বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই পানি দূষণ বন্ধে ও অপব্যবহার রোধে সবাইকে সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে দেয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

মহসচিব বলেন, পানি আমাদের এ বিশ্বের প্রাণের উৎস। স্বাস্থ্য ও পুষ্টি থেকে শুরু করে শিক্ষা ও অবকাঠামো পর্যন্ত সবকিছুতেই মানুষের টিকে থাকা ও ভালো থাকা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য পানি অপরিহার্য। কিন্তু এ প্রাণের উৎসের প্রতিটি ফোঁটা দূষণের শিকার হচ্ছে, অতিব্যবহারে অপচয় হচ্ছে।

গুতেরেস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন পানির প্রাকৃতিক চক্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের কারণে দূষণ যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি হচ্ছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছাচ্ছে। ফলে পানিজনিত দুর্যোগ, রোগের প্রাদুর্ভাব, পানির স্বল্পতা ও খরা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি অবকাঠামো, খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের শৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, এ বছর বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য এসব ব্যর্থতার কারণে শত কোটি মানুষকে যে মূল্য দিতে হচ্ছে, তা-ই স্মরণ করিয়ে দেয়। এই মানুষগুলো নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত।

বাণীতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বিশ্বের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২৫ জনকে এখন পানির সার্বিক চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে উন্মুক্ত জলপ্রবাহ ও পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে, নতুবা উচ্চমূল্যে তথাকথিত নিরাপদ পানি কিনে। ২২ শতাংশ মানুষ উন্মুক্ত পরিবেশে কিংবা অপরিচ্ছন্ন, বিপজ্জনক অথবা ভাঙাচোরা শৌচাগারে মলমূত্র ত্যাগ করছে। এবং ৪৪ শতাংশের ক্ষেত্রে বর্জ্যপানি অপরিশোধিত অবস্থায়ই প্রকৃতিতে ফিরছে। ফলে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি হচ্ছে।

গুতেরেসের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিত করতে যে লক্ষ্য, তা থেকে বিশ্ব বিপজ্জনকভাবে দূরে সরে যাচ্ছে। এ বছরের বিশ্ব পানি দিবস মানবজাতির প্রাণের উৎস রক্ষা, টেকসই ব্যবহার এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ব্যক্তি ও সামগ্রিক পর্যায়ে দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত