ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাশিয়া থেকে ব্যবসা গোটালো টয়োটা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:৪৪

রাশিয়া থেকে ব্যবসা গোটালো টয়োটা

ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের প্রতিবাদে প্রথম কোনো জাপানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাশিয়া থেকে ব্যবসা গোটালো টয়োটা মোটরস। দেশটিতে গাড়ি বিক্রি ও উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। রাশিয়ার সরকারের কাছে কারখানার জমি ও ভবন বিক্রি করে যেতে হচ্ছে তাদের।

রাশিয়ার শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, টয়োটার কারখানা রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নামির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

এদিকে টয়োটা নিশ্চিত করেছে, গত ৩১ মার্চ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নামি’র কাছে এ কারখানা হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে। তবে কোনো পক্ষই জানায়নি, কত অর্থের বিনিময়ে টয়োটা এ কারখানা বিক্রি করেছে।

সেন্ট পিটার্সবার্গের এ কারখানায় টয়োটা মূলত ক্যামরি ও রাভ৪ মডেলের গাড়ি উৎপাদন করত। ২০০৫ সালে এই কারখানার কার্যক্রম শুরু হয়, তবে সেখানে খুব বেশি গাড়ি উৎপাদিত হতো না। ২০২১ সালে ৮০ হাজার গাড়ি উৎপাদিত হয় এ কারখানায়।

রাশিয়ার শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, কারখানায় যত দ্রুত সম্ভব উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা হবে।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যেসব গাড়ি কারখানা রাশিয়া থেকে পাততাড়ি গোটাচ্ছে, নামি সেসব কারখানা নিজের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে। ইতিমধ্যে তারা রেনঁ ও নিশানের কারখানা বুঝে নিয়েছে।

তবে নামি মাত্র এক রুবলের বিনিময়ে রেনর সিংহভাগ অংশীদারি কিনে নিয়েছে। তবে শর্ত আছে, ছয় বছর পরে তারা আবার এই কারখানা কিনে নিতে পারে। নিশানের কারখানাও মাত্র এক রুবলে কিনে নিয়েছিল নামি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে একে একে রাশিয়া ছেড়ে গেছে কিংবা সেখানে উৎপাদন কমিয়েছে পশ্চিমা গাড়ি কোম্পানিগুলো। সেই শূন্যতা পূরণ করছে চীনা গাড়িনির্মাতারা। বিকল্প তেমন কিছু না থাকায় চীনা ব্র্যান্ড বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন রাশিয়ার ক্রেতারা এবং তা–ও আবার অপেক্ষাকৃত বেশি দামেই।

গাড়ির বাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা অটোস্ট্যাট ও পরামর্শক সংস্থা পিপিকের তথ্য অনুসারে, গত এক বছরে ফ্রান্সের রেন, জাপানি নিশান ও জার্মানির গাড়ি কোম্পানি মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো বেশ কিছু ব্র্যান্ড রাশিয়া ছেড়ে গেছে। সেই সুযোগ নিয়েছে চীনের নির্মাতারা। বর্তমানে রাশিয়ায় নতুন গাড়ির চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ সরবরাহ করছে চীনের হাভাল, চেরি ও গিলির মতো ব্র্যান্ডগুলো। ২০২২ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসেও যা ছিল ১০ শতাংশেরও কম।

বাংলাদেশ জার্নাল/সামি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত