ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

এরদোয়ানের নতুন মন্ত্রিসভায় যারা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৩, ১৭:১০

এরদোয়ানের নতুন মন্ত্রিসভায় যারা
তুরস্কের আঙ্কারায় নতুন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন এরদোয়ান । ছবি: রয়টার্স

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয়বারের মতো শপথ নিয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এর ফলে তার দুই দশকব্যাপী শাসনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে তার নতুন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করেছেন। নতুন মেয়াদে স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ছাড়া প্রায় পুরো মন্ত্রিসভাকেই ঢেলে সাজিয়েছেন তিনি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নতুন মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রীর পদে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে তার মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন সাবেক অর্থনীতি প্রধান এবং আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত সাবেক ব্যাংকার মেহমেত সিমসেক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আঠারো সদস্যের মন্ত্রিসভায় প্রায় সব মন্ত্রীই নতুন। এতে তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন সেভডেত ইলমাজ। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হাকান ফিদান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন আলী ইয়ারলিকায়া। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন মেহমেত সিমসেক, ইউসুফ তেকিন হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

এদিকে তুরস্কের চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল ইয়াসার গুলার হয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইলমাজ তুনশি। পরিবার ও সমাজসেবা মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মাহিনুর ওজদেমি। যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ওসমান আসকিন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ফাহরেত্তিন কোচা, তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

এ ছাড়া সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েচেন মেহেমেত নুরি ইরসয়। শিল্প ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হয়েছে মেহমেত ফাতিহ কাসির, কৃষি ও বনমন্ত্রী হয়েছে ইব্রাহিম ইয়ামাকলি, বাণিজ্যমন্ত্রী হয়েছেন ওমন বোলাত, পরিবহন ও অবকাঠামো মন্ত্রী হয়েছেন আব্দুলকাদির উরাগলু।

আরও পড়ুন...ঐতিহাসিক জয় নিয়ে তৃতীয় মেয়াদে এরদোয়ানের শপথ

আলজাজিরা জানায়, অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া সিমসেক ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে তুরস্কের অর্থমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। হয়তো দেশটিতে বছরের পর বছর ধরে চলা নীতি থেকে বের হয়ে এসে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি সত্ত্বেও সুদের হার কমিয়ে আনা ও বাজারের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রের হাতে নিয়ে আসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেন তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/সামি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত