ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

গরমে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠান্ডা রাখা

গরমে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠান্ডা রাখা
প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠান্ডা রাখা

গ্রীষ্মের প্রখর রোদে প্রায় অতিষ্ঠ জনজীবন। বাইরে যেমন গরম, তেমনি ঘরেও শান্তি নেই প্রচণ্ড গরমে। এখন স্বস্তি খুঁজতে হচ্ছে এয়ারকুলার বা ফ্যানের বাতাসেই। তবে এই সাময়িকভাবে ঠান্ডা হওয়াতে শারীরিক কিছু জটিলতা বেড়েছে। তাই আমরা চাইলে প্রাকৃতিকভাবে ঘর ঠান্ডা রাখতে পারি।

এর জন্য গাছ রাখতে পারি শোবার ও বসার ঘরে অথবা খাবার টেবিলের ওপর, আবার রান্না ঘর বা বাথরুমেরও। যা ঘরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক রাখবে এবং প্রশান্তি দিবে। অন্যদিকে সৌন্দর্যবৃদ্ধির সাথে কমিয়ে দিবে যান্ত্রিকতাও।

আসুন জেনে নেই এমন কিছু গাছ সম্পর্কে যা গরমে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠান্ডা রাখবে।

অ্যালোভেরা গাছ

ঔষধি এক গাছ অ্যালোভেরা, যা বায়ুর গুণগত মান বৃদ্ধি করে। তবে এই গাছের দামও মোটামুটি কম। বিজ্ঞানীরা বলেন, এই গাছ নাকি অক্সিজেন ছাড়ে রাতে। এই গাছটি ভূমিকা রাখে ঘরের তারপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে। আবার অক্সিজেনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয় যা ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে সারাক্ষণ।

স্নেক প্লান্ট

স্নেক প্লান্ট গাছটা দেখতে অনেকটা অ্যালোভেরার মতোই। এটা নিয়মিত শুষে নেয় কার্বন ডাই অক্সাইড। তাই নিশ্চিতে ঘরের শীতলতার জন্য রাখতে পারেন যে কোন জায়গায়।

রাবার গাছ

সুন্দর ইনডোর প্ল্যান্ট রাবার গাছ হতে পারে । দেখতে বেশ খুব সুন্দর লাগে ড্রইং রুমের যেকোনো কোনায় রাখলে । তবে অন্যান্য ইনডোর প্লান্টগুরোর তুলনায় এই গাছের আকারে একটু বড় । প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাইলৈ এই গাছ বাড়িতে রাখুন। আকারে বড় হলেও এই গাছের যত্ন নেওয়াও খুবই সহজ।

পিপল গাছ

ঘরের বারান্দা অনায়াসে টিকে যায় পিপল গাছ। বেশ অক্সিজেনও ছাড়ে। দারুণ উপকারি ডায়াবেটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য আর অ্যাজমার জন্যেও।

এরিকা পাম

এই গাছের দামও কিন্তু খুব কম। এই গাছের পাতা দেখতে একদম সুপারিগাছের মতো। প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করে এই গাছ। এতে অনায়াসেই ঘরের তাপমাত্রা কমে। শুধু তা-ই না, খুব সহজেই যত্ন নেয়া যায় এই গাছের।

অর্কিড

অসম্ভব সুন্দর একটা ফুল। খুবই উপকারী এই গাছটা। বিছানার পাশে রেখে দেওয়া যায় খুব সহজে। অক্সিজেন ছেড়ে ঘরটাকে শান্তিতে ভরিয়ে দেবে । এছাড়াও জাইলেনে নামের এক ধরনের উপাদান নিঃসৃত করে। সতেজ করে দেয় ঘরকে। শ্বাস নিতে অনেক শান্তি মেলে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত