ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিশুদের সামনে যে কাজগুলো একদম করা যাবে না

  জীবন শিল্প ডেস্ক

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২১, ১২:২০

শিশুদের সামনে যে কাজগুলো একদম করা যাবে না

আমরা জানি শিশুরা সবসময় অনুকরণ প্রিয় হয়ে থাকে। আপনাকে যেমনটা দেখবে, শিশু কিন্তু তাই শিখবে এবং সেটাই করার চেষ্টা করবে। যারা অভিভাবক তাদের উচিত শিশুদের সামনে বুঝে-শুনে চিন্তা করে কথা বলা ও তাদের সঙ্গে সেভাবে ব্যবহার করা। সব বাবা-মা-ই চায় তাদের সন্তান যেন ভালো মানুষ হয় এবং ভালো অভ্যাস রপ্ত করে। পরিবারই যেহেতু শিশুর বেড়ে উঠার প্রাথমিক স্কুল তাই বাবা-মার উপরেই পুরোটা নির্ভর করে শিশুর আচরণ কি রকম হবে। সন্তান হওয়ার পর মা-বাবাদেরও নতুন কিছু দায়িত্ব যোগ হয়। তাকে সুন্দর ব্যবহার শেখানোর দায়িত্বও কিন্তু আপনাদের। মা-বাবার ভেতরে সম্পর্ক সুন্দর না থাকলে, একে অন্যকে দোষারোপ করতে থাকলে বা ঝগড়া লেগে থাকলে তার প্রভাব সন্তানের ওপরেই পড়বে।

সন্তানের সামনে যে যে কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত

চিৎকার করে কথা না বলা: অনেক সময়ই রেগে গেলে বা বিরক্ত হলে আমরা চিৎকার করে কথা বলি। কিন্তু শিশুদের সামনে এমনটা করা যাবেনা। আপনি তার সামনে ধৈর্যশীল আচরণ করলে শিশুও তাই শিখবে। আর সে যদি আপনাকে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে দেখে তবে তাই ঠিক বলে সে ধরে নেবে। রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

ফোন এবং টিভি কম ব্যবহার করবেন: আপনি যদি বেশিরভাগ সময় ফোন ও টিভি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তবে আপনার সন্তানও তাতে অভ্যস্ত হবে। সময় কাটানোর জন্য সে এগুলোই বেছে নেবে। এ ধরনের অভ্যাস নিশ্চয়ই ভালো কিছু নয়। তাই সতর্ক থাকতে হবে আপনাকেই। তাই শিশুকে এসব থেকে দূরে রাখার জন্য ফোন কিংবা টিভির পেছনে কম সময় ব্যয় করতে হবে। এর পরিবর্তে বই পড়া, গাছ লাগানো, ছবি আঁকা ইত্যাদি সৃজনশীল কাজে শিশুকে আগ্রহী করে তুলতে পারেন।

ভদ্রতা বজায় রাখুন: সন্তান আশেপাশে থাকলে স্বামী-স্ত্রী ভদ্রতা বজায় রাখুন। বাচ্চার সামনে এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকুন, যা তাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সর্বদা শৃঙ্খলা বজায় রাখুন এবং তাদের সঙ্গে ভাল আচরণ করুন।

বডি শেমিং করবেন না: শিশুর সামনে তো নয়-ই বরং তার আড়ালেও কাউকে নিয়ে বডি শেমিং করা উচিত না। কারও চেহারা, গায়ের রং ও শারীরিক গঠন নিয়ে খারাপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। সৃষ্টিকর্তা যাকে যেভাবে বানিয়েছে, সে সেভাবেই সুন্দর। এই শিক্ষাটুকু আপনার সন্তানের ভেতরও ধারণ করতে শেখান।

কাউকে অপমান করবেন না: আপনি যদি শিশুর সামনে কাউকে অপমান করেন তবে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিশুর ওপরেও। কারও সঙ্গে মতের মিল না হলে বা কারও কোনো আচরণ পছন্দ না হলেও তাকে অপমান করবেন না। বরং ঠান্ডা মাথায় তার সমাধান করুন। তাদের প্রতি ক্ষোভ উচ্চস্বরে প্রকাশ করবেন না। আপনাকে খারাপ ব্যবহার করতে দেখলে আপনার দেখাদেখি শিশুও তা শিখবে। তাই শিশুর কাছ থেকে ভালো আচরণ আশা করলে আপনাকেই তা ধরে রাখতে হবে।

খাবার নষ্ট করবেন না: শিশুর সামনে কোনো খাবারকেই সহজলভ্য করে তুলবেন না। খাবার নষ্ট করতে দেবেন না। তাকে খাবারের গুরুত্ব বুঝতে শেখান। তার পেছন পেছন খাবার নিয়ে ছুটবেন না বা খাবারের জন্য জোরাজুরি করবেন না। বরং ক্ষুধা পেলে তাকে নিজের হাতে খেতে শেখান। খাবার অপচয় করা ঠিক নয়, তাও তাকে বুঝিয়ে বলুন।

নানা গবেষণায় দেখা গেছে, পারিবারিক কলহের কারণে শিশুর মানসিক বিকাশ বাঁধাগ্রস্ত হয়। এ ছাড়াও বাবা-মা যদি খারাপ শব্দ ব্যবহার করে ও অন্যের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে, তাহলে এর প্রভাব শিশুর উপরও পড়ে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত