ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

কিশমিশে রয়েছে নানান স্বাস্থ্য উপকারিতা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২১, ১২:১৬  
আপডেট :
 ০৫ আগস্ট ২০২১, ১২:৪৪

কিশমিশে রয়েছে নানান স্বাস্থ্য উপকারিতা
ফাইল ছবি

কিশমিশের উপকারীতা সম্পর্কে কমবেশি সবারই জানা। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে আপনাকে দূরে রাখতে পারে এই কিশমিশ। কিশমিশ শক্তির চমৎকার এক উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। কিশমিশ হচ্ছে এক ধরনের শুকনো আঙুর। কিশমিশ এমনই একটি খাবার যা পানি বা তরল পদার্থের সংস্পর্শে এসে ফুলে যায় এবং এতে পানি প্রবেশ করে। কিশমিশের এই বিশেষত্বই একে বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় সাহায্য করে। কিশমিশের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়েছিল হজম সহায়ক, ওজন বৃদ্ধিকারক ও বলকারক খাবার হিসেবে।

প্রতি ১০০ গ্রাম কিশমিশে ৩ দশমিক ৭ গ্রাম গলন-অযোগ্য আঁশ বা ইনসলিউবল ফাইবার আছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর ও হজম করতে বিশেষ এক ভূমিকা রাখে।এছাড়া প্রচুর গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ আছে কিশমিশে।তবে ওজনাধিক্য ও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বেশি কিশমিশ খাওয়া নিষেধ।

প্রতি ১০০ গ্রাম কিশমিশে যে পরিমাণ লৌহ রয়েছে, তাতে একজন মানুষের দৈনিক চাহিদার ২৩ শতাংশ পূরণ করে। তাই রক্তশূন্যতা দূর করতে এবং গর্ভাবস্থায় কিশমিশ খাওয়া উচিত। এ ছাড়া এতে আছে কেটেচিন ও রেসভেরাট্রল নামের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। কিশমিশের ২৬ শতাংশ হলো শর্করা, ১৫ শতাংশ আঁশ, আমিষ আছে ৬ শতাংশ ও চর্বি মাত্র ১ শতাংশ। আছে পটাশিয়াম ২১ শতাংশ এবং লৌহ ১০ শতাংশ। এ ছাড়া আছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও কপার।

দ্রুত এনার্জি বাড়াতে সহায়তা করে

ক্লান্তি অনুভব করলে এক মুঠো কিশমিশ খেয়ে ফেলুন আর দেখুন ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। খুব দ্রুত আপনি আপনার এনার্জি ফিরে পাবেন।

রক্তস্বল্পতার সমস্যা থেকে দূরে রাখবে

কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। ১ কাপ কিশমিশে রয়েছে প্রায় ৬ মিলিগ্রাম আয়রন যা আমাদের দেহের প্রায় ১৭% আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম।তাই কিশমিশ রক্তস্বল্পতার সমস্যায় খুব উপকারী।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে

কিশমিশের পলিফেনিল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়া এতে আছে ভিটামিন এ, বিটাক্যারটিন ও ক্যারোটিনয়েড।

কিশমিশ ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

ওজন বৃদ্ধির জন্য, বেশি পরিমানে ক্যালোরি গ্রহণ করতে হয় আর কিশমিশে ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি। ১০০ গ্রাম কিশমিশে ২৯৯ ক্যালোরি রয়েছে যা আপনার দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণের ১৫%। জার্নাল ফর ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন রিসার্চ -এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কিসমিসের ব্যবহার ওজন বাড়ানোর জন্য ভালো প্যারামিটার এবং পুষ্টি গ্রহণের সঙ্গে যুক্ত।

দাঁতের সুরক্ষা দেয়

এটি মিষ্টি হলেও দাঁতের সুরক্ষার জন্য নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। কিশমিশে রয়েছে বিশেষ ধরনের ফাইটোকেমিক্যাল, যা দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। এই ফাইটোকেমিক্যাল, যেমন অলিনলিক অ্যাসিড, লিনোলেয়িক অ্যাসিড ও লিনোনেয়িক অ্যাসিড মুখের ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে দাঁতকে ক্যাভিটি থেকে রক্ষা করে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম/আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত