গ্রীষ্মে চুলের যত্নে ১০ টিপস

আবহাওয়া বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমাদের দেহের ওপর প্রভাব ফেলে। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের ত্বক, চুল, শরীরের যত্নের রুটিনেও পরিবর্তন করা উচিত। গ্রীষ্মকালে গরম বাতাস, ধূলাবালি, হিউমিডিটির প্রভাবে চুলের সমস্যা বাড়ে। যেমন- খুশকি, চুলের অগ্রভাগ ফেঁটে যাওয়া এবং চুল পড়া বেড়ে যায়। গ্রীষ্ম আপনার মাথার ত্বকে শুষ্কতা আনে; এতে সান বার্ন হতে পারে।

তাই আজকে আমরা নিয়ে এসেছি গ্রীষ্মকালে চুলের যত্নের ১০টি টিপস।

অসহ্য এই গরমে শরীরকে আরাম দেয় যেসব খাবার

১। চুল ঢেকে রাখুন: গ্রীষ্মকালের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি টিপস। সরাসরি সূর্যের ক্ষতিকর আলো থেকে চুলকে রক্ষা করতে চুলকে স্কার্ফ বা উড়না দিয়ে অবশ্যই ঢেকে রাখুন। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি আপনার চুল খুব বাজেভাবে ড্যামেজ করতে পারে।

২। অতিরিক্ত চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন: গরমে বেশি বেশি চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন। বেশি চুল ধোয়া হলে স্কাল্পের ন্যাচারাল তেল ধুয়ে যায়, যার ফলে চুল শুষ্ক হয়ে যায়।

৩। স্কাল্প ম্যাসাজ করুন: চুল শ্যাম্পু করার পর মৃদু গরম তেল চুলে, স্কাল্প এ মালিশ করতে পারেন। এখানে আপনি যে কোনো সাধারণ তেল ব্যবহার করতে পারেন। নারিকেল, অলিভ, আলমন্ড তেল সবচেয়ে ভালো হয় ম্যাসাজের জন্য।

৪। চুল ট্রিম করুন: গরমকালে চুলের ড্যামেজ পার্ট কেটে নেয়া খুব ভালো, তাহলে চুল স্বাস্থকর থাকবে। আর যদি চুল ছেঁটে নেয়া যায়, তাহলে চুলের ড্যামেজ হওয়ার ভয় আরও কমে যাবে। ৫। মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন: হেয়ার ব্রাশ না ব্যবহার করে মোটা, ফাঁকা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। এটা চুল সহজে আঁচড়াতে, গিট ছাড়াতে সাহায্য করবে।

৬। হিট স্টাইলিং কমান: স্ট্রেইট, স্টাইল করা চুল তো সবসময়ই ভালো লাগে। কিন্তু গরমকালে বাইরের গরম বাতাস, ধুলা এ চুলকে এমনি ড্যামেজ করে ফেলে। তাই হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার ব্যবহার বা কোনো প্রকার হিট স্টাইলিং কম করুন।

৭। বেশি কসমেটিকস ব্যবহার করবেন না: গ্রীষ্মকালে চুল ডিহাইড্রেটেড হয়ে থাকে। তাই এটাই সবচেয়ে ভালো হবে যদি চুলে বেশি কসমেটিকস ব্যবহার না করা হয়। যদি ব্যবহার করা লাগেই, তাহলে অল্প পরিমানে ব্যবহার করবেন, যাতে বেশি ড্যামেজ না হয়।

৮। হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন: চুলের ড্যামেজ রিকোভার করতে, চুল পুষ্টিকর আর উজ্জ্বল করতে বিভিন্ন রকম হেয়ার প্যাক আছে। আপনার প্রয়োজন মতো পছন্দমতো হেয়ারপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন, চাইলে বিভিন্ন উপাদান মিশিয়েও একটি প্যাক তৈরি করে প্রতি সপ্তাহে একবার করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন।

৯। পুষ্টিকর ডায়েট: চুল বা ত্বকের যত্নে প্রচুর পরিমানে ফল, পানি, সবজি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। উজ্জ্বল চকচকে, মজবুত চুলের জন্য ব্যালেন্সড ডায়েট থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১০। চুল ধুতে গরম পানি ব্যবহার করবেন না: গ্রীষ্মকালে চুল ধোয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো হলো ঠাণ্ডা পানি। ঠাণ্ডা পানি চুল স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল করে। গরম পানি পরিহার করুন।

জেনে রাখা ভালো, চুল, ত্বক ইত্যাদির যত্নে বা সুন্দর রাখতে যে কোনো একটি পদ্ধতি কিন্তু আপনাকে পুরোপুরি সুফল এনে দিতে পারবে না। কয়েকটি পদ্ধতি আপনাকে নিয়ম করে অনুসরণ করতে হবে সবসময় স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক এবং চুলের জন্য। আর অবশ্যই ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আপনার যত্নের নিয়মের ও পরিবর্তন আনতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/স্বর্ণ/টিটি