যে ৫ কারণে ক্যাফিনজাতীয় পানীয় নিয়মিত খাওয়া এড়িয়ে চলবেন
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৩, ১৬:৩৫

একটানা কাজ করতে করতে একঘেয়েমি কাটাতে কফির বিকল্প নেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অতিরিক্ত কফি বা ক্যাফিনজাতীয় পানীয় খেলে ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে। যার ফলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই ক্যাফিনজাতীয় পানীয় খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি না খেলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। এ ছাড়াও কফি অনেক সময়েই উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে। ‘কর্টিজল’-এর মতো হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে যায়। ফলে মুখে ব্রণর সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
|আরও খবর
কফি খেলে ত্বকের আর কী কী ক্ষতি হতে পারে?
১) কফিতে থাকা অ্যাসিডের প্রভাবে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যা ত্বকের সেবাম উৎপাদনেও হেরফের ঘটায়।
২) দুধ এবং চিনি দেওয়া ফিল্টার কফি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাসের ফলে কিন্তু ত্বক ব্রণতে ভরে যেতে পারে।
৩) তৈলাক্ত ত্বকেও নাক এবং মুখের নির্দিষ্ট কিছু অংশ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
৪) ক্যাফিনজাতীয় পানীয় খেলে ত্বকে প্রদাহও দেখা দিতে পারে।
৫) অতিরিক্ত কফি খেলে ঘুমের যে স্বাভাবিক চক্র, তাতেও প্রভাব পড়ে। ঘুম কম হলে ত্বকও জেল্লাহীন হয়ে পড়বে।
পুষ্টিবিদদের মতে, ক্যাফিনজাতীয় পানীয় থেকে কোনও রকম ক্ষতি এড়াতে ৪০০ মিলিগ্রামের বেশি কফি গুঁড়া ব্যবহার করা উচিত নয়। পানীয় হিসেবে বলতে গেলে সারা দিনে ২ থেকে ৩ কাপ পর্যন্ত কফি খাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া এবং ত্বকের ধরন অনুযায়ী নিয়মিত ত্বকচর্চা করারও পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদেরা। সূত্র: আনন্দবাজার
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস