ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪০ মিনিট আগে
শিরোনাম

সাক্ষাৎকারে প্রকৌশলী আবদুস সবুর

সাইন্স-টেকনোলজিক্যাল ডিপ্লোমেসিতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২১, ১৮:০৪  
আপডেট :
 ০৭ জুন ২০২১, ২২:২৫

সাইন্স-টেকনোলজিক্যাল ডিপ্লোমেসিতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ

পারিবারিক সূত্রে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থক হয়েছিলেন প্রকৌশলী আবদুস সবুর। কলেজ জীবনে তিনি বরিশালের বিএম কলেজের ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত হন। পরে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের সহসভাপতি, বুয়েট কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের জিএস এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য পদে দায়িত্ব পালন। এছাড়া তিনি পেশাগত বিভিন্ন সংগঠন, বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) একাধিকবার সহকারী সাধারণ সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে আবদুস সবুর দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্র রাজনীতি থেকে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে অধিষ্ঠিত হওয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে আওয়ামীলীগ সরকারের মিশন ও ভিশনসহ নানা বিষয়ে বাংলাদেশ জার্নালের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন প্রকৌশলী আবদুস সবুর। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন স্টাফ রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান। যার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশ জার্নাল: টানা তৃতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতায় আসার আগে ২০২১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ করার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা। এখন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কি পর্যায়ে আছে বলে আপনি মনে করেন?

আবদুস সবুর: বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার নিরন্তন কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার চিন্তাভাবনা যে সুদুরপ্রসারি, যেটি ক্ষমতায় আসার আগেই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশবাসীকে বুঝিয়ে ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেই লক্ষ্যেই কাজ শুরু করেন। একটি ‘অ্যানালগ দেশ’ থেকে ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। আপনি দেখেন, সব ক্ষেত্রেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। ঘরে বসে একজন কৃষক সব তথ্য পাচ্ছেন। প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ কেনাকাটা করছেন। শিক্ষা কার্যক্রম চলছে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে। প্রশাসন, ব্যাংকিং, চিকিৎসাসেবাসহ সবকিছুতেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। আমরা করোনায় টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছি, ভার্চু্য়াল জগতে আমাদের মিটিং চলছে। যার জন্য আমাদের কোন কিছুই থেমে নেই। আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, দেশ এখন ডিজিটাল। আগামী দিনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার আরো প্রসারিত হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল: ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার ভিত্তিটা কোথা থেকে এসেছে বলে আপনার মনে হয়? আবদুস সবুর: আজকের যে ডিজিটাল বাংলাদেশ, বিশেষ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভূ-উপগ্রহের কথা বলেছিলেন, সেটাই সুত্র। বঙ্গবন্ধু রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুতের কথা বলেছেন সেটাই সুত্র। বঙ্গবন্ধুর সেই সুত্র ধরেই তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি? আবদুস সবুর: বঙ্গবন্ধুর যে ফাউন্ডেশন (ভিত্তি) দিয়ে গেছেন সেটার ওপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনায় আজকে বাংলাদেশ রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ডিপ্লোমেসিতে অনেক দূর এগিয়ে গেছি। যারজন্য আজ আমরা পাকিস্তানের চেয়ে সকল সূচকে এগিয়েছি। আমরা মনে করি, আগামী দিনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সুযোগ্য পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে সাইন্স ডিপ্লোমেসি এবং টেকনোলজিক্যাল ডিপ্লোমেসি মাধ্যমে সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবো ইনশাল্লাহ।

বাংলাদেশ জার্নাল: বর্তমান সরকারের আমলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাত দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার রহস্যটা কি?

আবদুস সবুর: রহস্য একটাই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার লংটার্ম সুদূরপ্রসরি টার্গেট। দেখুন তিনি এসেই ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের কথা বলছেন। ২০৪১ সালে উন্নত দেশের কথা বলেছেন। তিনি ডেল্টা প্লানের কথা বলেছেন। অর্থাৎ আজকে তিনি সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের একটা রোল মডেলে পরিণত হয়েছেন। যে রাজনৈতিক লিডারশিপ অর্থাৎ অর্থনৈতিক লিডারশিপ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির লিডারশিপ অর্জন করেছেন। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের এই জায়গায় বিশাল একটা অবদান রয়েছে। অনেক উন্নত দেশগুলো যেখানে আইসিটি সেক্টরে পিছিয়ে আছে সেখানে ওনার (সজিব ওয়াজেদ জয়) জন্য আমরা এগিয়ে আছি। তার প্রমাণ করোনায় যে জায়গায় উন্নত বিশ্বগুলো মাইনাস জিডিপি সেখানে আমরা ডিজিপি ৪.৪ অ্যাচিপ করেছি। আজকে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল: করোনা ভাইরাসে সরকারের গতিশীলতা কতটা কমিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন আপনি?

আবদুস সবুর: হ্যাঁ এটা বলতে পারেন, আমাদের যে কাঙ্খিত গতি সেই গতিকে কিছু হলেও হ্রাস করেছে করোনা। যদি সেই কাঙ্খিত গতি করোনায় হ্রাস না হতো তাহলে জিডিপি যেটা ৪.২ জিডিপি ৯ এর কাছাকাছি চলে যেত। আগামী দিনে আমরা টু ডিজিট অতিক্রম করতাম। কিছুদিন আগে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রায় ৬৫ লাখ কোটি টাকার আগামীর পঞ্চমবার্ষিকী পরিকল্পনার কথা বলেছেন। তারই অংশ হিসেবে এবার ৬ লাখ কোটি টাকার উপরে বাজেট দিয়েছেন, যেটা গত বছর ছিল ৫ লাখ ৬৮ লাখ কোটি টাকা। আজকে যদি এই করোনা না হতো তাহলে এটা ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট হয়ে যেত। বাংলাদেশ জার্নাল: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় সরকার কতটুকু এগিয়েছে বলে আপনি মনে করেন?

আবদুস সবুর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত দেশ গড়ার যে সুদূরপ্রসুরী টার্গেট নিয়েছেন, সেটি বাস্তবায়নে সাইন্স এবং টেকনোলজির রিসার্চের পাশাপাশি সবক্ষেত্রে রিসার্চের জোর দিয়েছেন। এটা কৃষি রিসার্চ বলেন বা অন্যকোন রিসার্চ বলেন। প্রতিটি সংস্থায় উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেই দিয়েছেন রিসার্চ করতে হবে। সেই রিসার্চটা কি? সেটা আমাদের দেশীয় উপযোগী। আজকে যে বড় অবকাঠামো যেমন পদ্ম ব্রিজ প্রকল্পে আমরা যেমন টেকনোলজি ট্রান্সফার করছি পাশাপাশি আমাদের দেশীয় টেকনোলজিকে উন্নত করছি। যার জন্য আগামীতে একই ব্রিজ করতে আরো কম সময়ে কম খরচে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রিসার্চ ও ডেভালপমেন্ট যে এগিয়েছি তার প্রমাণ মাত্র ৩২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে আজকে ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের সক্ষমতা অর্জন করেছি। এ সক্ষমতা অর্জন করে একই ইঞ্জিনিয়ার একই ডিপাটমেন্ট। আজকে পারমানবিক বিদ্যুৎ আমরা তৈরি করছি, আগামী বছর সাড়ে ১২ শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুতের পাশাপাশি পরের বছর আরো সাড়ে ১২ শ’ বিদ্যুত অর্থাৎ ২৫০০ মেগাওয়াট পারমানবিক বিদ্যুৎ পাবো। এটা শুরু করেছি। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা রিসার্চের ওপর জোর দিয়েছেন, তিনি ট্রান্সফারেন্সির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি টিম ওয়ার্কে জোর দিয়েছেন। এজন্য আজকে দেশের ইঞ্জিনিয়ার, সাইন্টিস্ট এবং প্রযুক্তিবিদরা নিদ্বিধায় যেকোন জটিল কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করেছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল: আওয়ামী লীগ সরকারের সক্ষমতা পরিচয় কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

আবদুস সবুর: আমাদের স্যাটেলাইট উক্ষেপণ হয়েছে। এটা আমাদের সক্ষমতার পরিচয়। পারমানবিক বিদ্যুৎ, সক্ষমতার পরিচয়। স্যাটেলাইট উক্ষেপণ হয়েছে আমরা পারি। আমাদের পদ্মাব্রিজ সক্ষমতার পরিচয়। মানে আমরা পারি। যেমন আমরা অর্থনৈতিকভাবে বিকাশমান অর্থনীতি এগিয়ে নিচ্ছি পাশাপাশি আমরা টেকনোলজির দিক দিয়ে এগিয়েছি। আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্য শেখ হাসিনা যেমন পলিটিক্যালি এবং অর্থনৈতিক ডিপ্লোমেসিতে এগিয়ে আছেন। আমি মনে করি, আগামী দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং তার সুযোগ্য পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে টেকনোলজিক্যাল এবং সাইন্স ডিপ্লোমেসিতে আমরা আরো এগিয়ে যাবো। এই এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর বুকে আমাদের যে কাঙ্খিত লক্ষ্য উন্নত বাংলাদেশ ২০৪১ সালে আগেই পাবো। যদি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে পারে।

বাংলাদেশ জার্নাল: এক্ষেত্রে সরকারের কি কি বাধা আছে?

আবদুস সবুর: বাধা একটাই নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে না পারা। আপনারা খেয়াল করবেন, বাংলাদেশ যে মুহূর্তে পাকিস্তান থেকে এগিয়ে যাচ্ছে সকল সূচকে, এমনকি ইন্ডিয়া থেকেও এগিয়ে যাচ্ছে। এই জায়গায় কিছু বাধা আসছে, যারা পাকিস্তানি মন মানসিকতায় আছে তারাই বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। এরা হলো জঙ্গি গোষ্ঠি বা পাকিস্তান মনষ্ক বিএনপি-জামাত। তাদের উন্নত বাংলাদেশ চাওয়া নয়, তারা চান ‘উন্নত পাকিস্তান’। যেহেতু পাকিস্তান আমাদের থেকে পিছিয়ে আছে যেহেতু তাদের কাছে ভালো লাগছে না। এটাই হলো মূল বাধা। তবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে আর আমাদেরকে পিছনে টেনে রাখার মতো কোনো শক্তি নাই, ইনশাল্লাহ।

বাংলাদেশ জার্নাল: আপনি আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই কমিটি কি কি কার্যক্রম চালাচ্ছেন?

আবদুস সবুর: উপকমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. হোসেন মনসুর। উপকমিটিতে অনেক প্রযুক্তিবিদ, সাইন্টিস্ট ও অনেক প্রফেশনাল লিস্ট আছেন। সবাইকে নিয়েই আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপকমিটি। ডিভিশনাল পর্যায়ে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে আমরা ছয়টা ডিভিশনে কর্মশালা করেছি। এছাড়াও সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপ করেছি এবং করছি। এবারও আমরা সেই পথ ধরে উপকমিটি সম্পন্ন করার পরে আমরা মিটিং করেছিলাম। প্রথম মিটিংয়ে আমরা ছয়টা টাস্কফোর্স গঠন করেছি। সেই ছয়টা টাস্কফোর্স দেশের প্রথিতষশা বিজ্ঞানী প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল: কি কি বিষয়ে টাস্কফোর্সে গঠন করেছেন এবং এতে কারা আছেন?

আবদুস সবুর: টাস্কফোর্স অব আইসিটি, যার কনভেনার অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। টাস্কফোর্স অব কমিউনিকেশন, যার কনভেনার অধ্যাপক ড. আ.ফ.ম. সাইফুল আমিন। টাস্কফোর্স অব রেল, যার কনভেনার অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান। আরেকটা টাস্কফোর্স অব ‘আমার গ্রাম আমার শহর ও অবকাঠামো’, যার কনভেনার অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর। টাস্কফোর্স অব পাওয়ার, যার কনভেনার প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ। সর্বশেষটি হলো টাস্কফোর্স অব এনার্জি, যার কনভেনার অধ্যাপক হোসাইন মনসুর। এভাবে আমরা ছয়টা টাস্কপোর্ট করেছি।

বাংলাদেশ জার্নাল: টাস্কফোর্সে গঠনের উদ্দেশ্য কি?

আবদুস সবুর: এই ছয়টা টাস্কফোর্সের মাধ্যমে আগামী দিনে আমরা বাংলাদেশকে কোন পর্যায়ে নিতে চাই বা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাভাবনা আরো এক্সিলারেট করার জন্য কাজ করবে। যেমন এবার আইসিটি সেক্টরে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বাজেটে আমরা আমাদের বক্তব্য রেখেছি। এভাবে অন্যান্য ক্ষেত্রেও টাস্কফোর্স কাজ করবে।

বাংলাদেশ জার্নাল: আপনার রাজনীতিতে আসার শুরু গল্পটা বলবেন? আবদুস সবুর: পারিবারিকভাবে প্রায় সবাই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ। বিশেষ করে আমার চাচারা, মামারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক ছিলেন। ছোট বেলায় পরিবারের সবাইকে দেখতাম আওয়ামী লীগের পক্ষে হয়ে কাজ করতে, সেই থেকে আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। পরে বরিশালের বিএম কলেজে পড়ার সময় কলেজের ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত হই।

বাংলাদেশ জার্নাল: আপনার সংক্ষিপ্ত রাজনীতি জীবনীটা বলবেন?

আবদুস সবুর: বরিশালের বিএম কলেজের ছাত্রলীগের সাথে জড়িত হওয়ার পরে আমি বুয়েট ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করি। বিশেষ করে বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। এছাড়া বুয়েট কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের জিএস হয়েছিলাম। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগেও দায়িত্ব পালন করেছি। এছাড়া পেশাগত বিভিন্ন সংগঠন যেমন বঙ্গুবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করি। বিশেষ করে প্রকৌশলীদের প্রাচীন সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এর একাদিকবার সহকারী সাধারণ সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক, ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করি। সবশেষ আইইবি’র প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করেছি। এছাড়া ‘ফেডারেশন অব ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অব সাউথ অ্যান্ড সেন্টার এশিয়া’ আর্ন্তজাতিক এই সংগঠনটির সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের আগে আমি আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি।

বাংলাদেশ জার্নাল: রাজনীতিতে আপনার শেষ ইচ্ছেটা কি?

আবদুস সবুর: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা জননেত্রী শেখ হাসিনার আধুনিক বাংলা এবং দেশরত্ম শেখ হাসিনার যুযোগ্য পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছায়াতলে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কাজ করে যেতে চাই।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত