জান্নাতি কবিতার তিনটি কবিতা
জান্নাতি কবিতা
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২১, ১৬:১১
।। কীট ।।
তোমার সোনালি কাব্যে লেখা থাকে গভীর প্রণয়,
মেঘের মাদলে স্পষ্ট ব্যাকুলতা;
বর্ষার নীল খামে ভরা থাকে শাওনের নদী।
ছাইরঙা সন্ধ্যার কপালে তুমিই পরাতে পারো লালটিপ
বর্ণমালার মন্ত্রে দিব্যকান্তি করে দিতে পারো কবিতার শরীর।
কলমের চুম্বনে যে তুমি আঁকো প্রেম, শুদ্ধতা, শুভাশিস
সে তুমি নিপুণ অবহেলায় স্বর্গোদ্যানে আহবান করো বিষাক্ত কীট।।। মামুলি গল্প ।।
একটা দীর্ঘশ্বাস এসে চুপচাপ বসে থাকে দখিনের বারান্দায়।
যদিও প্রতীক্ষা ছিল চুম্বনের।
মারীকাল।
জানালায় চোখ পেতে আছে শিকারী ঈগল।
প্রেম, পদ্যরাশি, সংগীত বাদ যায় না কিছুই।
তবুও পলেস্তারা খসে খসে পড়ে জীবনের,
ভোজবাজির মতো উবে যায় নকল ভূগোল।
মারীকাল।
ভরা বর্ষায়ও বুকের অন্দরে খাঁ খাঁ গ্রীষ্ম।
দীর্ঘ গুমোট।
জীবনের গল্পগুলো কেমন মামুলি হয়ে ওঠে!।। সিগারেট ।।
দিনে ক’টা খাও?
ঠোঁট বাঁকা করে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিল অনামিকা।
কার্তিকের এক সন্ধ্যায় এই ছাদেই ধোঁয়ার রিং বানাতে বানাতে চারুলতা বলেছিল,
‘সিগারেট ছাড়া আমার চলেই না।’
সেদিন থেকে আমি সিগারেটে অভ্যস্ত হয়ে উঠার চেষ্টা আর একটা স্বপ্ন দেখতে শুরু করি
একদিন আমি আর চারুলতা
একটা সিগারেট ভাগ করে খাব।
একদিন আমি আর চারু ঠোঁটের স্পর্শে
ধোঁয়ার বৃত্ত উড়াবো।
আমি অভ্যস্ত হয়ে উঠার আগেই চারু বরের সাথে শ্বশুরবাড়ির ছাদে ধোঁয়ার রিং বানাতে চলে গেল!
ছাদের ঠিক সেই জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আজ চারুর বোন অনামিকা নাক কুঁচকে বলছে, ‘দিনে ক'টা সিগারেট খাও? গন্ধে কাছে আসা যায় না!’বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম