ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাহবুবা করিমের তিনটি কবিতা

  শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৩:৩৩

মাহবুবা করিমের তিনটি কবিতা
ছবি- সংগৃহীত

তোমার হাসি এত নিষ্পাপ কেন

রিমঝিম বৃষ্টি শেষে যেই না মেঘ কেটে উঁকি দিলো ভরা পূর্ণিমা,

এই মুহূর্তে আমি নিশ্চিত—

জোছনা তোমার হাসি হাসি গালে চুমু খেয়ে পৃথিবীটা এতো আলোকিত করেছে...

নয়তো কী? অত রূপ চাঁদের কবে ছিলো?

হাসছো?

তুমি হাসলেই এমন হয়,

তুমি হাসলেই দাগী আসামীও বাইবেল পড়তে শুরু করে

তুমি হাসলেই ঘাতকের বিষমাখা ছুরি খসে পড়ে যায় হাত থেকে;

তুমি হাসলেই দগ্ধ হৃদয় মিঠা নদী হয়ে যায়।

কী বিশ্বাস হচ্ছে না?

হেসেই দেখো —

তুমি হাসলেই সহস্র প্রেমিক ক্রুশবিদ্ব যীশু হতে চায়,

তুমি হাসলেই আমার খুব খুন হতে ইচ্ছা করে তোমার ভেতর।

শুনছো?

ঐভাবে হেসো না মেয়ে,

হাসলেই পৃথিবী নুয়ে পড়ে তোমার পায়ের কাছে।

ভরসা

ভরসা রাখলে, পাহাড়ি নদীকেও আঙুলের ইশারায় মতিঝিল চত্তর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত বিছিয়ে দিতে পারি,

জানালায় ঊঁকি দিলে—সাঙ্গু নদী

পা ভেজাবে?

ভেজাও

রাতেই,

রাতেই, উন্মুক্ত আকাশ আমার আত্মায়-মজ্জায় ঢুকে পড়ে -

তুমি চাইলেই বুক থেকে অশ্বিনী - রেবতি - রোহিনী - কৃত্তিকা

এইসব সব তারা তোমার কপালে পরিয়ে দিতে পারি;

বিশেষ করে রাত, রাতেই,

আমি লিখে দিতে পারি সব,

দিনের আলোয়—ধ্রুবতারাও ঘুমিয়ে থাকে,

নদীও ক্ষ্যাপা বাউল হয়ে যায়।

তুমি, বরং রাত নাও মেয়ে। রাতে আমার বুকে ফোঁটে দুর্লভ প্রেম ফুল।

জীবন

ওভারলক হয়নি বলে— জীবন থেকে আলগোছে,

খুলে গেছে

মা;

তারপর বাবা খুলে গেলো;

বাবা খুলে গেলো — বাবার বিছানায় বিষাদ ঘুম

মা খুলে গেলো —মা'র উনুনে দাউদাউ কান্না

চাপাই;

আমি অর্ধনগ্ন ছেঁড়া জীবন নিয়ে, মর্গে পড়ে থাকতে দেখি — প্রথম প্রেমিকাকে;

বাংলাদেশ জার্নাল/এমজে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত