ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ফেসবুকে চাকরির প্রলোভন ও বন্ধুত্ব করে প্রতারণা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:১২  
আপডেট :
 ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:২১

ফেসবুকে চাকরির প্রলোভন ও বন্ধুত্ব করে প্রতারণা
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং

রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকা থেকে প্রতারণার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। পুলিশ বলছে, এই চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরির প্রলোভন ও বন্ধুত্ব করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতো। শুক্রবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা বিভাগ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. কবির হোসেন, মো. শামসুল কবীর ও মো. ইয়াছিন আলী। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের ২৫৭টি চেক বই, ২৩৪টি ডেবিট কার্ড, ৮টি মোবাইল ফোন ও ১১টি মোবাইল সিম উদ্বার করা হয়।

শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে কানাডায় লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনায় ভুক্তভোগী এক ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর কদমতলী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়।

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, এই প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতারণা করে থাকে। এই চক্রের একটি গ্রুপ প্রথমে ভিকটিমের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে নিবিড় বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। এরপর ফেসবুকে বিদেশে চাকরির অফার দিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপস, মেসেঞ্জার এবং ইমেইলে যোগাযোগ করে। চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে বিভিন্ন ফি’র বাহানায় টাকা জমা দিতে বলে। হোয়াটসঅ্যাপস এর মাধ্যমে এসব ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নম্বর প্রদান করে।

তিনি আরও বলেন, ২য় গ্রুপের কাজ হলো বিভিন্ন নামে ব্যাংক হিসাব খোলা। এরপর ফেসবুকে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উপহার পাঠানোর কথা বলে কাস্টমস কর্মকর্তা সেজে ফোন করে। এসব হিসাবধারীরা কমিশনের বিনিময়ে নিজের বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খুলতে থাকে এবং খুব ঘন ঘন বাসা এবং মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে।

ডিবি প্রধান বলেন, এই চক্রের ৩য় গ্রুপ এসব ব্যাংক হিসাবধারীদের স্বাক্ষরিত চেকবই এর পাতা, এটিএম কার্ড এবং কার্ডপিন কুরিয়ারের মাধ্যমে সংগ্রহ করে। ৪র্থ গ্রুপ প্রতিদিন ভিকটিমদের জমাকৃত টাকা চেক বা কার্ডের মাধ্যমে উত্তোলন করে একজন ম্যানেজারের হাতে তুলে দেয়। ম্যানেজার এই টাকা তাদের কথিত বসের হাতে পৌঁছায়। এভাবেই সাপ্তাহিক বন্ধ ছাড়া প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার কবীর হোসেনের কাজ যাবতীয় অর্থ সংগ্রহ করে ম্যানেজারের হাতে পৌঁছে দেয়া। কবীর হোসেনের সহযোগী হিসাবে কাজ করে গ্রেপ্তার ইয়াসিন। গ্রেপ্তার শামসুল কবীর হলো ব্যাংক হিসাবধারী। এরা সবাই মাসিক বেতনের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্তরে কাজ করে এবং তাদের অন্য কোন পেশা নেই বলে প্রাথমিক ভাবে তারা জানায়।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ফেসবুকে অপরিচিত কোনো ব্যক্তির আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট কিংবা কোন লিংক পাঠালে তা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফজেড/আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত