ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

নিজ গাড়িচালকের হাতেই খুন হন আফরোজা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২২, ১৫:৫৩  
আপডেট :
 ১৬ মার্চ ২০২২, ১৬:০৪

নিজ গাড়িচালকের হাতেই খুন হন আফরোজা

রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় নিজ অ্যাপার্টমেন্টে আফরোজা সুলতানাকে গলাকেটে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ভিকটিমের গাড়িচালক মো. হৃদয় বেপারী (৩৪) এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। সে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলো। তার বাসা ভাড়া বাকি পড়ে যায়। সে ধারনা করে তার ম্যাডামের কাছে অনেক টাকা ও স্বর্ণালংকার আছে। কারণ সে প্রায়ই দেখত ভিকটিম আফরোজা সুলতানা বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা জমা দিতেন। ওই টাকার লোভেই হৃদয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

রাজধানীর মধ্যবাড্ডা এলাকা থেকে মঙ্গলবার বিকেলে গাড়িচালক মো. হৃদয় বেপারীকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, সেভেন সার্কেল বাংলাদেশ লিমিটেড, গুলশান-২ এ কর্মরত এমআইএস ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ম্যানেজার আফরোজা সুলতানাকে গত ১৩ মার্চ মধ্য বাড্ডা এলাকার ভাড়া বাসায় গলা কেটে খুন করা হয়। ঘটনাস্থলে সিআইডি, পিবিআই, থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা একত্রিত হয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

হাফিজ আক্তার বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা গুলশান বিভাগও তদন্ত শুরু করে। তদন্ত চলাকালীন তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সূত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকারীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, হৃদয়কে গ্রেপ্তারের পর ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলে কিভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের পর স্বর্ণালংকার চুরি করেছে তা দেখিয়ে দেয়। তার দেখানো মতে পাশের নির্মাণাধীন ভবনের পার্শ্ববর্তী খালি জায়গা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়। এরপর তার বাসার পাশের বালুর নিচ থেকে তার দেখানো মতে চোরাইকৃত স্বর্ণালংকারসহ সংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, ড্রাইভার মো. হৃদয় বেপারী ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিল। বর্তমানে ৩ ছেলের বাবা। সে ২০০৫ সালে ড্রাইভিং শিখে বিভিন্ন জায়গায় ড্রাইভার হিসেবে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ ২০১৫ থেকে গুলশান ২ নং এর সেভেন সার্কেল বাংলাদেশ লিমিটেড একটি বাসায় ভিকটিম আফরোজা সুলতানার ড্রাইভার হিসেবে কাজ নেয়।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার হৃদয় অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এতে তার তিনমাসের বাসা ভাড়া বাকি পড়ে যায়। এসব কারণে অভাবে পড়ায় সে চিন্তা করে বেশ কিছু টাকা হলে সে দূরে কোথাও গিয়ে অন্য ব্যবসা করে সংসার চালাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফজেড/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত