ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

জাবির তিন বন্ধুর উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

  আলফি শাহরীন

প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২২, ১৩:৪৫  
আপডেট :
 ১৯ জুন ২০২২, ১৩:৪৯

জাবির তিন বন্ধুর উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

‘পুরো পৃথিবী একদিকে আর আমি অন্যদিক, সবাই বলে করছ ভুল আর তোরা বলিস ঠিক। তোরা ছিলি, তোরা আছিস, জানি তোরাই থাকবি। বন্ধু . .. বোঝে আমাকে, বন্ধু আছে , আর কি লাগে?’ - জনপ্রিয় এই গানের লাইনটি বাস্তবে প্রমাণ করে দেখিয়েছে রিন্যাল-এর রিম্পা, নাইয়ার এবং ইলমা। বন্ধু পাশে থাকলে বহুদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব তারই এক প্রতিচ্ছবি এই তিন তরুণী।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)-এর এই তিন তরুণী তাদের বন্ধুত্বের এক গভীর সম্পর্ক ফুটিয়ে তুলেছে তাদের ছোট একটি উদ্যোগ রিন্যাল এর যাত্রা শুরু করার মাধ্যমে। বাংলাদেশ জার্নালকে তিন বন্ধুর পথচলার গল্প শুনালেন রিন্যাল-এর উদ্যোক্তা সাদিয়া আফরিন রিম্পা।

আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক রিন্যাল এর এগিয়ে যাওয়ার গল্প-

সাদিয়া আফরিন রিম্পা পড়াশোনা করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আই.আই.টি. বিভাগে। উদ্যোক্তা হিসেবে তার যাত্রা খুব বেশি সময়ের না হলেও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে এটি তার দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে। একই ইন্সটিটিউটের নাইয়ার সুলতানা এবং হুদাইবিয়া হক ইলমার সাথে তৈরি হয় তার গভীর বন্ধুত্ব। একসাথে চলতে চলতে একে অপরের ইচ্ছেগুলো শেয়ার করতে গিয়ে খুব মিল খুঁজে পায় তারা। তবে রিম্পা জানান তখনও তিনি চিন্তা করতে পারেননি যে শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় বিজনেস করার সাহস করে উঠতে পারবেন তিনি।

করোনাকালীন আবদ্ধ জীবনের বিরক্ততা দূর করতেই হঠাৎ করে রিম্পা ও তার দুই বান্ধুবি সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন যে অনলাইন বিজনেস করবেন। তার পেছনে বড় একটা কারণ ছিলো দ্রব্য-মূল্যের ঊর্ধ্বগতি। নিজেদের পক্ষেও স্টুডেন্ট হিসেবে প্রয়োজনীয় প্রসাধনীর ব্যয়ভার বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছিলো তাদের জন্য। তাই নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলতে এবং স্টুডেন্টদের জন্য স্বল্পমূল্যে ভালো প্রোডাক্টস দেয়ার ভাবনা নিয়ে তিন তরুণী নেমে পরে কাজে। রিম্পা তার গল্পে তুলে ধরেন রিন্যাল-এর মূল উদ্দেশ্য যা স্টুডেন্টদের ব্যয় কমিয়ে আনা এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করা সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার।

রিম্পা জানান, তাদের তিনজনের নামের সাথে মিল রেখে অনলাইন পেইজ খুলেন তারা। Rinael (Ri=Rimpa,Na=Naiar,El=Elma) যা থেকে রিন্যাল নামটি দিয়ে থাকেন তারা। মূলত জুয়েলারিস, স্কিন কেয়ার, হেয়ার কেয়ার, ব্যাগ, মেকআপ ইত্যাদি ইম্পোর্টেড প্রোডাক্টস নিয়ে কাজ করে থাকে রিন্যাল। এছাড়া স্বল্প মূল্যের সঙ্গে রয়েছে পিকআপ পয়েন্টের সুবিধা। মাত্র ২ বছরেই ১ থেকে অলমোস্ট ১২হাজার সদস্যে পরিণত হয়েছে রিন্যাল-এর ফেসবুক গার্লস গ্রুপ বলে আনন্দ প্রকাশ করেন রিম্পা।

পথটা সহজ ছিলো না! বরং এখনও অনেক বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলেও জানান রিম্পা। পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের সামলাতে হচ্ছে বিজনেস, সময় ম্যানেজ করা,পরিবারকে বোঝানো, শিপমেন্ট প্রবলেম এবং কাস্টমারের সঙ্গে কমিউনিকেশন বজায় রাখা। যেহেতু অনেক ধরণের কাস্টমারস থাকে তাই কমিউনিকেশন-এর ক্ষেত্রে খুব ধৈর্যের সঙ্গে সময় দিতে হয় তাদের। এছাড়া একজন মেয়ে হিসেবে বিজনেস করার প্রতিবন্ধকতা তো আছেই যেটা এখনও আমাদের সমাজে সাধারণ বিষয় হয়ে উঠতে পারেনি।

বাংলাদেশ জার্নালকে রিম্পা জানান তাদের ইচ্ছের কথা। তিনি বলেন ভবিষ্যতে রিন্যালের একটি আউটলেট দেয়ার ইচ্ছে আছে তাদের এবং পাশাপাশি সেখানে অসহায় মানুষদের কর্মসংস্থান তৈরি করে দেয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন রিন্যাল এর তরুণ উদ্যোক্তা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএস/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত