ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

সড়কের যানজটকে কাজে লাগানোর কৌশল

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২২, ১৫:১৫

সড়কের যানজটকে কাজে লাগানোর কৌশল
ফাইল ছবি

ঢাকায় বসবাস করে আর যানজটে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় পার করে না এমন মানুষের সংখ্যা পাওয়া দুষ্কর। শহরের যেকোনো গন্তব্য স্থলে পৌছাতে হতে আপনার জ্যামের সম্মুখিন হতেই হবে।

যদি জ্যামকে আপনার দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগিয়ে সময়টিকে মূল্যবান করে রাখতে চান তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্যই।

আসুন কিছু উপায় শিখে নেই, যার মাধ্যমে আমরা এই যানজটে সময় নষ্ট না করে উল্টো এটাকে কাজে লাগাতে পারবো। এতে মঙ্গল আমাদেরই হবে। আর আমাদের মঙ্গল মানেই দেশের মঙ্গল!

মুঠোফোনে কথা বলা

আমাদের এমন অনেক বন্ধু বা আত্মীয় আছেন যাদের সঙ্গে আমরা অনেকদিন ধরেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রায়ই তাদের কথা মনে পড়ে; কিন্তু কথা বলা হয়ে ওঠে না আর। তবে এই যানজটের সময়টাকেই আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের কাজে লাগাতে পারি। লম্বা একটা সময় পাওয়া যাবে কথা বলার। এতে দুজনেরই মন ভালো হয়ে যাবে, আবার অনেকদিন পর খোঁজখবরও নেয়া হবে।

আশেপাশের কার্যক্রম লক্ষ্য করে সময় কাটানো

আপনি বাসে একটি আসনে স্থির বসে আছেন অথবা দাঁড়িয়ে আছেন। এই সময় আপনার গাড়ি যানজটের মধ্যে আটকে গেলো। আপনি হয়তো এক দৃষ্টিতে কোনো দিকে তাকিয়ে আছেন। মানে বেকার মস্তিষ্ক নিয়ে বসে আছেন। বেকার বসে থাকার চেয়ে এক কাজ করুন। আশেপাশের কে কী করছে তা লক্ষ্য করতে থাকুন। বাসের চালক বা সহকারী অথবা আপনার পাশেই যিনি বসে আছেন, তার কার্যক্রম লক্ষ্য করুন। গাড়ির বাহিরে কী হচ্ছে খেয়াল করুন। এভাবে দেখবেন আপনার সময় হুট করে কেটে গিয়েছে! এখানে বলে রাখা উচিত, ভুলেও সরাসরি কারো দিকে তাকাতে যাবেন না। এতে তারাই উল্টো আপনাকে সন্দেহ করতে থাকবে। বরং আড়চোখে তাকান। অন্যের কার্যক্রম লক্ষ্য করতে করতে অনেকসময় মজাদার কিছুও চোখে পড়ে যেতে পারে!

বই অথবা পত্রিকা পড়া

আপনি চাইলে আপনার সাথে একটি বই অথবা পত্রিকা রাখতে পারেন। অলস সময়ে বসে না থেকে বই পড়ুন। বই পড়লে আপনারই সময়টা ভালো যাবে। আপনি ইচ্ছা করলে যানজটে প্রতিদিন যে পরিমাণ সময় বসে থাকেন, সেই সময়ে যদি নিয়মিত বই পড়েন, তাহলে প্রতি সপ্তাহে আপনি একটি করে বই পড়ে ফেলতে পারবেন!

অডিও বই শোনে সময় কাটানো

ছোটবেলায় কেউ গল্প পড়ে শোনালে খুব ভালো লাগতো। কিন্তু বড় হয়ে যাবার পর কে আর গল্প পড়ে শোনায়! কেউ না থাকলেও, আপনার মুঠোফোন কিন্তু ঠিকই আপনার জন্য তৈরি আছে গল্প পড়ে শোনানোর জন্য। ইন্টারনেট ঘাটলেই অনেক ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ্লিকেশন পাবেন, যেগুলো বইয়ের কথাগুলো হুবহু পড়ে আপনাকে শোনাবে। যানজটে বসে যদি একটি বই শুনে শেষ করে ফেলতে পারেন, তবে খারাপ কী! অলস সময়টাকে চাইলে আপনি এভাবেও ব্যবহার করতে পারেন।

গান শোনা

গানের ছন্দ মানুষের মনকে পরিষ্কার করে তোলে। দুশ্চিন্তা অথবা মানসিক বিষণ্ণতা থাকলে গান শুনুন। গানের ছন্দ দুশ্চিন্তা অথবা বিষন্নতা কমিয়ে দিয়ে সাহায্য করে। সেই সাথে চিন্তাশক্তিও উন্মুক্ত করে দেয়। যানজটের মধ্যে চিন্তিত বসে থাকার চেয়ে গান শুনে মনকে শান্ত করতে পারেন। তাছাড়া গান আপনার প্রতিদিনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দিতেও সাহায্য করে। তাই গান শুনে অলস সময় কাটাতে পারেন।

নিজের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে চিন্তা করা

যানজটে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন? এক কাজ করুন। আগামী দিনের অথবা আগামী সপ্তাহে আপনার কী কী কাজ করতে হবে অথবা কোন কোন লক্ষ্য পূরণ করতে হবে তা ঠিক করে ফেলুন। পারলে একটি কাগজে তা লিখে রাখুন, যাতে পরে তা মনে থাকে। বলা হয়, গোসলখানা হলো চিন্তা করার জন্য আদর্শ জায়গা। আর আপনি আপনার চিন্তা করার আদর্শ জায়গা বানিয়ে ফেলুন যানজটকে। এই সময় নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে থাকুন। কোনো সমস্যা থেকে থাকলে, তা কীভাবে সমাধান করা যায় তা ভেবে দেখুন। এভাবে আপনার সময় সুন্দরভাবেই কেটে যাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত