ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

একদিনের রিমান্ড শেষে বাবুল আক্তার কারাগারে

  নিজস্ব প্রতিবিদক

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২২, ১৯:১২  
আপডেট :
 ১১ নভেম্বর ২০২২, ১৯:১৮

একদিনের রিমান্ড শেষে বাবুল আক্তার কারাগারে
সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। ফাইল ছবি

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুক্রবার রিমান্ড শেষে বাবুল আক্তারকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও বাবুল আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন বাবুল আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

এজাহারে বনজ কুমার উল্লেখ করেছেন, চট্টগ্রাম মেট্রো পিবিআই মিতু হত্যা মামলা তদন্তাধীন থাকাকালে প্রধান আসামি হিসাবে বাবুল আক্তারের নাম বেরিয়ে এলে তাকে গ্রেপ্তার করে। জেলে থাকা বাবুল আক্তার মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে বাংলাদেশ পুলিশ ও পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য অপর আসামিরা দেশে ও বিদেশে অবস্থান করে বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আক্তার ও অন্যান্য আসামির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ৩ সেপ্টেম্বর বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় তার ফেসবুক আইডি ও ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ও ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে উল্লেখিত ভিডিও প্রচার করা হয়। আসামি ইলিয়াস ভিডিওতে প্রচারিত বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে উসকানি দিয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশ এবং পিবিআই ও বিশেষ করে বাদীর (বনজ কুমার মজুমদার) মানসম্মান ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছেন। শুধু মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ২ নম্বর আসামি হাবিবুর, ৩ নম্বর আসামি ওয়াদুদ এবং ৪ নম্বর আসামি বাবুল আক্তারের সার্বিক সহযোগিতায় ১ নম্বর আসামি ইলিয়াস হোসাইন ভিত্তিহীন বক্তব্যসহ ভিডিও ক্লিপ ফেসবুক ও ইউটিউবে আপলোড করেছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত