ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজে আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞরা

ভ্যাকসিনেশনে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:৩৪  
আপডেট :
 ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:৫৪

ভ্যাকসিনেশনে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব
আলোচনা সভার আগে বের করা হয় সচেতনতামূলক র‌্যালি। নিজস্ব ছবি

ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে জরায়ুমুখ ক্যান্সার ৯০ শতাংশ প্রতিরোধ সম্ভব। আর ক্যান্সার হয়ে গেলেও ভয়ের কিছু নেই। এর চিকিৎসা রয়েছে। যথাযথ চিকিৎসায় ৯২ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে যায়।

বুধবার আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজে ‘অ্যাওয়ারনেস অব সারভিক্যাল ক্যান্সার প্রিভেনশন অ্যান্ড মাস ভ্যাকসিনেশন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন। সভার পর শুরু হয় জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে গণটিকা কার্যক্রম।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এখলাছুর রহমান।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মডার্ণ হেলথ গ্রুপের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) আশরাফ আবদুল্লাহ ইউসুফ।

সহ-সভাপতিত্ব করেন ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আনোয়ান খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সেহেরীন এফ সিদ্দীকা।

আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ। নিজস্ব ছবি

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী, প্রফেসর গুলশান আরা, সেক্রেটারি জেনারেল, ওজিএসবি অ্যান্ড পিএজিএসবি, প্রফেসর পারভীন শাহিদা আখতার, সভাপতি মেডিকেল অনকোলজি সোসাইটি অব বিডি, ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য ও এটিএন নিউজের চিফ এক্সিকিউটিভ এডিটর মুন্নি সাহা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী অধ্যাপক ডা. তামান্না মাহমুদ উর্মি।

আলোচনা সভার পর শুরু হয় জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে গণটিকা কার্যক্রম। নিজস্ব ছবি

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল (অব.) আশরাফ আবদুল্লাহ ইউসুফ বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ভ্যাকসিন অনেক ব্যয়বহুল। এত টাকা খরচ করে আর্থিকভাবে অসচ্ছল জনগোষ্ঠী এ ভ্যাকসিন দিতে পারবে না। এ কারণে গণটিকা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এখলাছুর রহমান বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ভ্যাকসিন রয়েছে। ভ্যাকসিন দিলে এই রোগের ঝুঁকি ৯০ শতাংশের বেশি কমে যায়। আর ক্যান্সার হয়ে গেলেও চিকিৎসা আছে। সঠিক চিকিৎসা হলে ৯২ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগী সুস্থ হয়ে যায়। সে জন্য জরায়ুমুখ ক্যান্সার সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে, অন্যদেরকেও জানাতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. মো. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ক্যান্সার একটি ঘাতক রোগ। এটা হয় না এমন কোনো স্থান নেই, ব্যক্তি নেই। নির্দিষ্ট গোষ্ঠির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সকল সেক্টরের মেয়েদের জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ভ্যাকসিন দিতে পারলেই আমাদের আসল লক্ষ্য অর্জিত হবে।

আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথিরা। নিজস্ব ছবি

প্রফেসর গুলশান আরা বলেন, আগামী ১০০ বছরের মধ্যে বিশ্বকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। তারা বলেছে, ১৫ বছর পর্যন্ত বয়সের নারীদের ৯০ শতাংশকে যদি ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যায়, তাহলে আগামী ১০০ বছরে বিশ্বে আর জরায়ুমুখ ক্যান্সার থাকবে না। আমাদের দেশকেও ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে।

ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, আমরা চাই আমাদের মেয়েরা শতভাগ জরায়ুমুখ ক্যান্সারমুক্ত থাকুক।

আলোচনা সভা শেষে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম। নিজস্ব ছবি

আলোচনায় সভায় আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, চিকিৎসক, ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভার আগে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে একটি সচেতনতামূলক র‌্যালি বের করা হয়। সবশেষে জরায়ুমুখ ক্যান্সার সচেতনতা বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মঞ্চস্থ হয় নাটিকা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত