ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঢাবি শিক্ষক রহমত উল্লাহর একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা নেই

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৬  
আপডেট :
 ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৫৬

ঢাবি শিক্ষক রহমত উল্লাহর একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা নেই
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্থগিতের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি ‌শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য দেয়ায় অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। এখন তার একাডেমিক কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন।

অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন। সেই আদেশ আপিল বিভাগ বহাল রেখেছেন। এই আদেশের ফলে ঢাবি শিক্ষক রহমত উল্লাহর একাডেমিক কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই।

গত বছরের ৮ জুন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি 'শ্রদ্ধা' জানিয়ে বক্তব্য দেয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

গত বছরে ১৭ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে আলোচনাসভার আয়োজন করে। সেখানে মো. রহমত উল্লাহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান।

এ নিয়ে তখনই সোচ্চার হয়ে ওঠেন উপস্থিত অতিথিরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদের প্রবল আপত্তি ও প্রতিবাদের মুখে রহমত উল্লাহর বক্তব্যের ওই অংশটি প্রত্যাহার করেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।

এরপর গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন পর্যায়ে। এরপর এ ঘটনায় ক্ষমা চান তিনি। এ সময় বিষয়টি ‘অনিচ্ছাকৃত’ বলে উল্লেখ করেন রহমত উল্লাহ।

তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, ‘বক্তব্য প্রদানকালে আমি যদি অজ্ঞতাবশত কোনো শব্দ/বাক্য উচ্চারণ করে থাকি, তা নিতান্তই আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের সব পক্ষের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়, সে জন্যও সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক রহমত উল্লাহ ঢাবিতে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত