ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

বিনা ফিতে প্রতিবন্ধীদের আইনি সহায়তা দেন ছিদ্দিক উল্লাহ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৩৪  
আপডেট :
 ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৩৮

বিনা ফিতে প্রতিবন্ধীদের আইনি সহায়তা দেন ছিদ্দিক উল্লাহ

কারো হাত নেই, কারো পা নেই। কেউ বা চিরতরে অন্ধ। সমাজের প্রতি পদে পদে তারা অবহেলিত। বঞ্চনা, গ্লানি উপেক্ষা, অবজ্ঞা তাদের নিত্যসঙ্গী। নানা প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে নিজেদের তৈরি করেছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী কোটা অনুসরণ না করায় নিয়োগ বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। কোথায় যাবেন, কী করবেন এই অসহায় অথচ সংগ্রামী মানুষগুলো।

তাদের ভরসাস্থল, দরদি বন্ধু যেন আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। এই মানুষগুলোর জন্য বিনা পয়সায় আইনি লড়াই করে চলেছেন তিনি। ২০১৩ সাল থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের আইনি সহায়তা দিয়ে আসছেন ছিদ্দিক।

শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নয়, যোগ্যতা থাকার পরও প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে চাকরি না হওয়া যে কোনো কোনো ব্যক্তির পাশে থাকেন এই আইনজীবী। দেন বিনা পয়সায় আইনি সহায়তা। প্রতিবন্ধীদের পক্ষে আজীবন আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

তার এক রিটে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি প্রতি উপজেলায় ১১৪ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদের নিজ নিজ উপজেলায় সহকারী শিক্ষক পদ সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

প্রতিবন্ধীদের পাশে থাকতে বরাবরই ইচ্ছা পোষণ করেন ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। প্রতিবন্ধীদের প্রতি সদয় দৃষ্টির কারণে তিনি দেশব্যাপী ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তিনি শুধু প্রতিবন্ধী চাকরি প্রার্থীদেরই আশার আলো দেখান না। দেশের হাজারো চাকরি-বঞ্চিতদের ভরসাস্থল। যে কোনো চাকরিতে অধিকার বৈষম্যে সব সময় পাশে দাঁড়ান তিনি। কখনো কখনো পারিশ্রমিক ছাড়াই মামলায় লড়েন। নিজ খরচে দরিদ্র চাকরি প্রত্যাশীদের যাতায়াতের ব্যবস্থাও করে থাকেন। এজন্য তিনি `গরিবের আইনজীবী` উপাধিও পেয়েছেন।

অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, স্বাভাবিকভাবে প্রতিবন্ধীদের প্রতি আমাদের একটা দায়বদ্ধতা থেকে যায়। তাছাড়া প্রতিকূলতার মধ্যে পড়াশোনা শেষ করে, চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় আটকে যায়। তাহলে দেখা যাবে এখনো যারা পড়াশোনা করছে তারা সাহস হারিয়ে ফেলবে। এজন্য কোথাও তাদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হলে আমি তাদের পাশে থেকেছি, এখনো আছি, আগামীতে থাকবো। আইনি সহায়তায় তাদের থেকে আগেও ফি নেয়নি, আগামীতেও নেবো না।

প্রতিবন্ধীদের উদেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের থেকে কোনো টাকা নেব না। কারো কাছে একটি টাকাও দেবেন না। সরাসরি আমার চেম্বারে আসুন।

তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী হয়ে যারা অনার্স-মাস্টার্স করেছে, তাদের বোঝা মনে করা যাবে না। তারা নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে এখানে এসেছে। এখন তাদের একটু সহায়তা দেয়া দরকার। আমি সেটাই দেয়ার চেষ্টা করছি। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের বোঝা নয়, তারাও সমাজের জন্য সম্পদে পরিণত হতে পারে এটাই প্রমাণ করতে হবে।

ভিডিও

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত