আমরা চেষ্টা করছি সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদঘাটনের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:১৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ডিআরইউর স্মারকলিপি আমি র্যাবের ডিজিকে এখনই পাঠিয়ে দিচ্ছি। তাড়াতাড়ি একটা কিছু যেন তারা জানান, সেই নির্দেশনা তাদের দেয়া হবে। আমরা চেষ্টা করছি, রহস্য উদঘাটনের।
|আরো খবর
তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতাদেরও বলেছি, আপনাদের কাছেও যদি কোনো তথ্য থাকে, সেগুলো আমাদের জানালে আমরা সেটিও দেখবো।’
দ্রুত সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নেতারা। স্মারকলিপি গ্রহণের পর সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ডিআরইউ আমাকে স্মারকলিপি দিয়েছে। বিচার তো আমরা করতে পারবো না, আমরা তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারবো। চেষ্টা করছি, অনেক বছর তো হয়ে গেছে। আমরাও চাই এ রহস্য উন্মোচিত হোক। উদীয়মান দুই সাংবাদিক, যাদের অনেক প্রতিভা ছিল, তারা দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন। তারা আমাদের মধ্য থেকে চলে গেছেন। আমরাও চাই কেন এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেটি উদঘাটন করতে।’
এদিকে, মন্ত্রীকে দেয়া ডিআরইউ-এর স্মারকলিপিতে বলা হয়, ক্ষোভ ও দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য মাছরাঙা টেলিভিশনের সাবেক বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের এক দশক পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের এখনো শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়নি। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় তাদের শিশুসন্তানের সামনে নির্মমভাবে খুন হন এ সাংবাদিক দম্পতি।
‘তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্তে কোনো ধরনের অগ্রগতি নেই। এমনকি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত থেকে ৯৫ বার সময় নেওয়া হয়েছে। বিচার না পেয়ে সাগর-রুনির পরিবারে ও গোটা সাংবাদিক সমাজে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। কিছুদিন আগে পরলোকগমন করেছেন মেহেরুন রুনির মা নুরুন্নাহার মির্জা। এখনো বিচারের আশা ছাড়েননি সাগর সরওয়ারের বয়োবৃদ্ধ মা সালেহা মুনির এবং এ দম্পতির একমাত্র ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।’
এতে আরও বলা হয়, ‘যে কোনো হত্যার বিচার পাওয়া নাগরিকের অধিকার। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকের সেই অধিকার নিশ্চিত করা। আমরা দেখেছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় বড় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে। অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। সাগর-রুনি হত্যার কোনো কূলকিনারা তারা করতে পারবেন না- এটা আমরা বিশ্বাস করি না। তাই আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ে সাগর-রুনি হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত খুনিদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা আবারও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। এ হত্যার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ডিআরইউ দাবি থেকে সরে যাবে না।’
এসময় ডিআরইউ-এর সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, দপ্তর সম্পাদক কাওসার আজম ও কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস