ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৩, ১৬:৩০

ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
শামীমা নাসরিন ও মোহাম্মদ রাসেল। ছবি : সংগৃহীত

গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেছেন। এ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আলোচিত এই মামলার বিচার শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত এই আদেশ দেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম এ বিষয়ে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আজ অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। অভিযোগ গঠনের দিনে রাসেলকে কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী আহসান হাবীব অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে শামীমা আদালতে উপস্থিত হননি। আদালত দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য হয়েছে।’

নথি থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, বাদী ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইভ্যালি সম্পর্কে জানতে পারেন। সেখানে কম দামে ইলেক্ট্রনিকস পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অফার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজারদরের থেকে প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। পরবর্তীতে ইভ্যালি অ্যাপের মাধ্যমে দুটি মোবাইল নম্বর দিয়ে দুটি অ্যাকাউন্ট খোলেন বাদী। তিনি নিজের আইডি দিয়ে আনুমানিক পাঁচ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। বন্ধুর নামে আরেকটি আইডি খুলে ২৩ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। এই দুই আইডি দিয়ে মোট ২৮ লক্ষাধিক টাকার অর্ডার করেন বাদী। এই টাকা পরে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ, নগদ, ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেয়া হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়, অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেয়ার কথা ছিল ইভ্যালির। কিন্তু সাত মাস পেরিয়ে গেলেও পণ্যগুলো বুঝে পাননি মামলার বাদী। এ বিষয়ে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে।

এরপর এ মামলার তদন্ত শেষে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত