ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজে কিডনি দিবস পালিত

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩, ১৬:১৯  
আপডেট :
 ০৯ মার্চ ২০২৩, ১৮:১১

আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজে কিডনি দিবস পালিত
আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজে কিডনি দিবস পালিত। নিজস্ব ছবি

আন্তর্জাতিক কিডনি দিবস পালন করেছে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। দিনটি উপলক্ষে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে পথসভা, র‌্যালি ও ফ্ল্যাশমব করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থ ‘কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস)’। ধানমন্ডিস্থ আনোয়ান খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কিডনি দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সবার জন্য কিডনি স্বাস্থ্য- অপ্রত্যাশিত দুর্যোগে সহায়তা’।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের উপাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী, কিডনি রোগ বিভাগের প্রধান ‘ক্যাম্পস’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ, সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আব্দুস সালাম আরিফ, কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক ও ডার্মাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ জেড এম মাইদুল ইসলাম।

এছাড়া আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

কিডনি দিবস পালন উপলক্ষে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের উপস্থাপনা। নিজস্ব ছবি

অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী বলেন, কিডনি রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ বলেন, কিডনি রোগী দুর্যোগের সময়ে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। আমরা জানি কিডনি রোগের প্রাদুর্ভাব ব্যাপক। সারা বিশ্বে ৮৫ কোটি লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশে ২ কোটিরও অধিক কিডনি রোগী রয়েছে। প্রতি বছর ৩৫ থেকে ৪০ হাজার লোক কিডনি বিকলের শিকার হয় বাংলাদেশে। আরও ১৫ থেকে ২০ হাজার আকস্মিক কিডনি বিকল হয়। এদের বেঁচে থাকার জন্য ডায়ালাইসিস ও কিডনি সংযোজন প্রয়োজন হয়। কিডনি বিকলের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল বিধায় শতকরা ১০ জন এর ব্যয় সংকুলান করতে পারে। চিকিৎসা করতে গিয়ে অনেক পরিবার আর্থিকভাবে সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। সবার জন্য কিডনি স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে ডায়ালাইসিস ও কিডনি সংযোজন বীমার আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে গেলে বেচেঁ থাকার জন্য প্রয়োজন ডায়ালাইসিস ও কিডনি সংযোজন। ডায়ালাইসিস সাধারণত সপ্তাহে ২-৩ দিন করতে হয়। দুর্যোগের কারণে ডায়ালাইসিস বন্ধ হলে মৃত্যু এগিয়ে আসবে। কিডনি সংযোজনের রোগীদের নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে। নিয়মিত ওষুধ সেবন না করলে সংযোজিত কিডনি বাতিল হয়ে যেতে পারে। দুর্যোগের মোকাবেলায় কিডনি রোগীদের নিজ পূর্ব প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। যেমন- প্রয়োজনীয় ওষুধসহ জরুরি ‘কিটবক্স’ প্রস্তুত রাখা, বিকল্প ডায়ালাইসিস সেন্টার সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা নিয়ে রাখা, সাহায্যকারী নেটওয়ার্ক তৈরী করে রাখা, যেমন-বন্ধু, আত্মীয়, প্রতিবেশীদের সহায়তা। ডায়ালাইসিস পেতে বিলম্ব হলে সাময়িক খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, যেমন-পানি কম পান করা, মাছ-মাংস কম খাওয়া, পটাশিয়াম যুক্ত খাবার যেমন-ফল ও সবজি পরিহার করা ইত্যাদি। কিডনি রোগের সুলভে চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে ক্যাম্পস ইতোমধ্যে ঢাকার পাশাপাশি মাদারিপুর, চাঁদপুর, টাঙ্গাইল, সখিপুর ও নবাবগঞ্জ শহরে কিডনি সেবাকেন্দ্র ও ডায়ালাইসিস কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এ সব কেন্দ্র সমূহের পক্ষ থেকেও নিজ নিজ জেলা ও থানা শহরে বিশ্ব কিডনি দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‍্যালি ও বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

কিডনি দিবস পালন উপলক্ষে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ ও ক্যাম্পসের উদ্যোগে র‌্যালি। নিজস্ব ছবি

ক্যাম্পসের নির্বাহী পরিচালক রেজওয়ান সালেহীন বলেন, কিডনি রোগ ভয়াবহ বটে। তবে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করে এ রোগের প্রকোপ কমিয়ে রাখার লক্ষ্য নিয়েই ক্যাম্পস কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত