ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫০ মিনিট আগে
শিরোনাম

চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করতেন তিনি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৮:৫৭  
আপডেট :
 ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৯:১১

চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করতেন তিনি
প্রতীকী ছবি

নিজেকে কখনো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পার্সোনাল কাউন্সিলর, কখনো অডিট চিফ অফিসার। আবার কখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের পিএস হিসেবে পরিচয় দিতেন তিনি। এসব ভুয়া পরিচয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ধরা পড়েছেন পুলিশের হাতে। গ্রেপ্তার প্রতারক হলেন-মো. জহিরুল ইসলাম বাপ্পি।

বাগেরহাট সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের একটি টিম। এসময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন ও ৫টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে গ্রেপ্তার জহিরুলের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় প্রতারণার মামলা করেন একজন ভুক্তভোগী।

বৃহস্পতিবার ডিবি সাইবারের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল হক বলেন, প্রতারক জহিরুল অনলাইনে বাসা ভাড়ার বিজ্ঞাপন দেখে ভাড়া নিতে ভুক্তভোগী ও মামলার বাদীকে ফোন করে একটি বাসা দেখতে যান। বাসা দেখে পছন্দ হওয়ায় প্রতারক বাসাটি ভাড়া নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ওই সময় জাতীয় পরিচয়পত্র ও একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে জহিরুল নিজেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালযয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের পিএস পরিচয় দেন।

কিছুদিন পর ভুক্তভোগীকে ফোন করে জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনেক লোক নিয়োগ করা হবে। সেখানে চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে সিভি নিয়ে যেতে বলেন।

এডিসি নাজমুল বলেন, পরে প্রতারক জহিরুল চাকরি দেয়ার জন্য ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে কিছু টাকা নেন। এরপর থেকে প্রতারকের মোবাইল নম্বর বন্ধ পান ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে জহিরুল ইসলাম বাপ্পি নামে কোনো পিএস নেই। বাদী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে দক্ষিণখান থানায় মামলা দায়ের করেন।

নাজমুল হক আরও বলেন, মামলার পর তদন্ত শুরু করে সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত রোববার জহিরুলকে বাগেরহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে জহিরুলের বিরুদ্ধে পল্লবী থানার আরও একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলা তদন্তকালে পুলিশ জানতে পেরেছে, জহিরুল নিজেকে অডিট চিফ অফিসার (মিনিস্ট্রি অব হেলথ ডিপার্টমেন্ট) পরিচয় দিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের ফুড স্টোর কিপার এবং অডিট অফিসার পদে চাকরি দেয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল হক বলেন, পরিচয় যাচাই না করে কারো সাথে লেনদেন করা উচিৎ নয়। প্রতারণা এড়াতে মিষ্টি কথার প্রলোভনে না পড়া, ভিজিটিং কার্ড বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখেই আশ্বস্ত না হওয়া, কারও পরিচয় সম্পর্কে সন্দেহ হলে নিকটস্থ থানা পুলিশকে অবহিত করার অনুরোধ করেন তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত