ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিস্কুট খাওয়ার দিন আজ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৩, ১৮:০৯

বিস্কুট খাওয়ার দিন আজ
ছবি: প্রতীকী

বিস্কুট খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করেন। ছোট খিদের বড় সমাধান হলো বিস্কুট। বিস্কুট সারা বিশ্বের জনপ্রিয় স্ন্যাকস। বাজারে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের বিস্কুট আছে।

কারও পছন্দ চকলেট কুকিজ, কেউ আবার পছন্দ করেন অরেঞ্জ কিংবা নাটি বিস্কুট। এছাড়া নরম বা কুড়কুড়ে, মিষ্টি বা নোনতা, প্লেইন বা ক্রিমসহ নানা উপকরণে তৈরি করা হয় বিস্কুট।

চায়ের সঙ্গে বিস্কুটের মেলবন্ধন পছন্দ করেন অনেকেই। সকাল-সন্ধ্যার নাস্তায় বেশিরভাগ মানুষের পাতেই থাকে এই মুখোরোচক খাবারটি। এছাড়া বিস্কুটের গুঁড়া বিভিন্ন রেসিপি তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়।

আজ কিন্তু জাতীয় বিস্কুট দিবস। এদিন বিস্কুট খাওয়ার মাধ্যমে উদযাপন করতে পারেন। সারা বিশ্বের বিস্কুটপ্রেমীরা প্রতিবছর ২৯ মে জাতীয় বিস্কুট দিবস পালন করে।

বিস্কুটের ইতিহাস

বিস্কুট কিন্তু কোন আধুনিক আবিষ্কার নয়। প্রাচীন বিশ্বেই বিস্কুটের উদ্ভব ঘটে। জানা যায়, রোমান, গ্রীক ও মিশরীয় সাম্রাজ্যের বণিক ও সামরিক কর্মীরা মাসের পর মাস সমুদ্রে কাটাতেন। এভাবেতারা পণ্যবাহী জাহাজে করে বিদেশি উপকূলে তাদের পথ তৈরি করতেন।

তখন তারা এমন খাবার খেতেন যেটি তাদের পুরো যাত্রার জন্য ক্যালোরির উত্স সরবরাহ করবে। সমুদ্রের মাঝে তো তারা তাজা খাবার খেতে পারতেন না। তাই ক্যাপ্টেনরা শুকনো খাবার মজুদ করতেন।

এক্ষেত্রে মিলাররা ময়দা পিষে দীর্ঘ সময়ের জন্য অল্প আঁচে রুটি সেঁকতে শুরু করে। এই কৌশলটি পুষ্টি ধরে রাখতে সাহায্য করে আবার যে কোনো জীবাণুও ধ্বংস করে। ফলে খাবার বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায়। সেই তখন থেকেই বিস্কুটের মতো পাউরুটি সমুদ্রের একটি প্রধান খাবার হয়ে ওঠে।

প্রাচীন মিশরীয়রা বাজরা নামক শস্য দিয়ে তৈরি চ্যাপ্টা ভঙ্গুর রুটি তৈরি করতো। তবে মিষ্টি খাবার হিসেবে বিস্কুটের আধুনিক ধারণা সপ্তম শতাব্দীর পর শুরু হয়। প্রাচীনরা এগুলোকে ভ্রমণের খাবার হিসেবে বিবেচনা করতেন।

সপ্তম শতাব্দীর পর পারস্যরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে। শুধু পানি ও ময়দা দিয়ে শুকনো রুটি তৈরির ধারণা থেকে বেরিয়ে তারা এর গঠন উন্নত করতে ডিম, মাখন ও ক্রিমের মতো অন্যান্য উপাদানগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে শুরু করে।

এর বিস্কুট বিলাসবহুল খাবারের যুক্ত হয়। পরবর্তী সময়ে পারস্যরা ফল ও মধুর মতো মিষ্টি জিনিস মিশিয়ে ইতিহাসেরে প্রথম কুকি তৈরি করে। দশম শতাব্দীর শেষের দিকে ইউরোপে বিস্কুট আসে।

সূত্র: ন্যাশনাল টুডে

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত