ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন এএসপি সোহেল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:০৫
এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্স।
বুধবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছাবেরা সুলতানা খানমের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
শুনানির সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী যুক্তি দেন, তার মক্কেল হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য জামিন পেয়েছেন। হাইকোর্ট তাদের মক্কেলকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ট্রায়াল কোর্টে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, আদেশের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তার মক্কেল আদালতে হাজির হয়ে মামলায় জামিন চান।
এর আগে গত ২৫ জুলাই ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আল মামুন মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সোহেল উদ্দিন প্রিন্স বর্তমানে বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। তিনি ৩৬ বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দিন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন ভুক্তভোগী এক নারী। তিনি সরকারি কর্মকর্তা। এরপর আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সঙ্গে বাদীর বিয়ের কথা হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেলউদ্দীন বাদীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলে। সেখানে তার আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত থেকে কাজীর মাধ্যমে বিবাহ হবে বলে জানায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা। বাদী ওইদিন সন্ধ্যা সাতটায় তার আত্নীয়-স্বজনসহ রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেলউদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে না পেয়ে প্রশ্ন করলে আসামি জানায় কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। বাদী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকে। কথাবার্তার এক পর্যায়ে সোহেলউদ্দিন বাদীকে খুন করার ভয় দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। বাদী জানান সোহেলউদ্দীন আগেও বিয়ে করেছিলেন। ওই স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় তিনি সাময়িক বরখাস্ত হন।
বাংলাদেশ জার্নাল/আইজে