আব্দুল্লাহ জুবায়েরের কবিতা ‘তবুও...স্বপ্নই’
শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৪৯ আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২২, ০২:০৩
স্বপ্নটা বেশ বড় ছিলো তখন।
জীবনটা ছিলো অতি ক্ষুদ্র।
স্বপ্নটাকে বেশ কয়েকবার ছুঁয়েছিলাম স্বপ্নের মাঝে।
কিন্তু সে স্বপ্নটা এ জীবনে আর বাস্তবে ছুঁয়ে দেখা হয়নি।
আজও সে স্বপ্নটা স্বপ্নের মধ্যেই দেখতে পাই।
এখন আবার নতুন কিছু স্বপ্নের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাকে ভাবতে হয়।
তাইতো গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ আর শীতকে উপেক্ষা করে ভোর থেকে রাত অবধি সময়টা কাটাতে হয় খোলা আকাশের নিচে।
আমার ওপরেই যে নির্ভর কিছু স্বপ্নের আগামীকাল।
কিন্তু হঠাৎ-ই ধরিত্রীর আকাশে জমা হলো কালো মেঘ।
যে যার মতো করে গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে নিজেদের।
সুস্থ মত্তে প্রাণ খুলে নিশ্বাস নেয়াটা হয়ে উঠেছে দুষ্কর, দুশ্চিন্তার।
এ যেন ধরনীর বুকে অদৃশ্যের এক ভয়াল থাবা।
ভাবতে হচ্ছে প্রতিটি মূহুর্তে, কি হবে ক্ষানিকটা বাদে...!
পর্যাপ্ত অর্থকরী নিশ্চিন্তে বড় সাহেবদের করেছে ঘরবন্দি।
পেটের দায় আর অসাধ্য সাধনের স্বপ্ন নিয়ে, আজও আমি খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে।
ধরনীর এ অবস্থায় অনেক বড় সাহেবরা সাবধান থাকতে কয়, মাস্ক না যেন কি পরতেও কয়, সাথে আরও কতো উপদেশ।
ধরিত্রীর এই নিস্তব্ধতার মধ্যেও সাহেবরাতো ভালোই থাকবে, তাহলো আমার বেলাই কেন এমন.....!
হঠাৎ পৃথিবীর নিরবতা কী এবার দু'মুঠো আহারের জোগান টাও কেড়ে নিবে...?
এবার যে সহ্য করে থাকার শক্তিটাও হারিয়ে ফেলেছি, ধৈর্য্যের বাধ মানছে না আহার।
ক্ষুধার জ্বালার চেয়ে বড় যে আর কিছু নেই।
তাই বলি কি পূর্বের গগণে প্রভাতের নতুন প্রদীপটা যেন আর না জ্বলে।
তারপরও বেঁচে থাকার বড্ড ইচ্ছে হয়।
মনে হয় আবার যদি দু'মুঠো আহারের যোগানটা খুঁজে পেতুম।
স্বপ্নগুলোর পূর্ণতা না হয় আবারো স্বপ্নের মধ্যেই খুঁজে নিতাম।
তাই বাঁচতে পারলে হয়তো সুস্থ পৃথিবীর সুন্দর দিনগুলো আরো একবার দেখে যেতে পারতুম।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে