মাহমুদ উল মামুনের তিনটি কবিতা
শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২২, ০২:৩৬
।। বুনো দুপুরে।।
চৈতালি বুনো দুপুরে আমলকি ডালে
দুলে ওঠে নতুন পাতা মিহিদানার মতো
ঠিক তাও নয়, মখমলি চাদর ঢাকা শরীরে
দখিনা বাতাসে বাসন্তী সুবাস মেখে
এক নিঃস্ব হলদে পাখি আধো ঘুমে
বসে থাকে- স্বপ্ন কল্পনার সীমান্তে,
প্রেমিক প্রজাপতি মনে অন্য চাওয়া!
এবার কি বৃষ্টি হবে- মেঘের দিকে
তাকিয়ে প্রলম্বিত উদাসী ভাবনা তার,
আহা! কতো দিন ভেজা হয়নি কোমল
জলে, হয়নি কতো কথা তার সাথে!
দূর বনানী থেকে নিঃশ্বাস শব্দ তুলে
ভেসে আসে কোকিলের ডাক-
আহ্বান কিনা জানতে পারে না এ পাখিটা,
মানুষের মতোই বোধহয় পাখিদেরও
ভাষার ভিন্নতা আছে- আছে সুর,
তবুও কখনো কোনো পাখি মানে না হয়তো-
জাত পাত ধর্ম বর্ণভেদ, এ জন্যই কেবল
মুক্ত দিগন্তে ডানা মেলে শ্বাস নিতে পারে!।। মুখোশ মানুষ ।।
নোনাধরা সময়ে বর্ণহীন বিজাণুর উৎপাত,
বোধহীন সমাজের গলিতে দোকান খোলে ধারাপাত
আমরা উড়তে উড়তে উচ্ছন্নে গেলেও উৎরে যায়-
রঙহীন গন্ধহীন এক অসময়ে-
সময়ের কথা ভাবি!বীর বাহু পেশীতন্ত্র চালায় কালের কলের গাড়ি
মুড়ির টিন তোষা খানা থেকে এসে দাঁড়ায় -
রাজপথে সারি সারি,
বুর্জোয়া ধরে আছে কালের চাবি!নাড়াবন ঢাকা থাকে তাজা খুনে
চাপা ভাদ্দর মাস হাটুজল বিলে,
খুনি গজারের হিংস্র আবরণে
কেউটে আবারও ওঠে ফণা তুলে!আমি ঐকতান শুনি ঈশান কোনে
আসছে তাণ্ডবলীলা কালো মেঘ রঙ
লেগেছে আগুন দাউদাউ ঐ গুল্ম বনে
বিস্ময়ে চেয়ে দেখি- মানুষ কোথায়
বাকল খসে বেরিয়ে পড়ে মুখোশ, সঙ!।। টুকরো স্মৃতি ।।
কতদিন হয়নি দেখা
পাশাপাশি ধোঁয়া উঠা ধূমায়িত সুখ
এককাপ চায়ের সাথে - খুশির
উচ্ছল সুতীব্র তোর হাসি মুখহিমায়িত স্মৃতি স্বপ্নে উছলা তনু মন
খোঁজে চারপাশে ঘনিষ্ঠ চেনা সুর
সেতারের পাশে বসা- বিমোহিত
কণ্ঠনালীর ভাঁজে গুঞ্জরে প্রেম মধুকরবৃষ্টি বন্ধ করে দৃষ্টিপট যে ই
বিমোহিত জল নূপুর বাজে রিনিঝিনি
ভাবি একি ভালোবাসা - নাকি শুধু কাছে আসা
হারিয়ে ক্ষয়ে ক্ষয়ে ভুলি নিজেইবাংলাদেশ জার্নাল/এসএস