আইরিন সুলতানা লিমার তিনটি কবিতা
শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২২, ২২:৩১
।। নিষ্ঠুর চিল ।।
নিষ্ঠুর শিকারি চিল ছিন্নভিন্ন করে যায় দেহ
শীতল রাতেও ঘাম ঝরায় অবিরত...
মানুষ নয় যেন- কেবলই আহার্য!
চিলের ডানায় ছিল মাংসের গন্ধ
ঠোঁটে লেগে ছিল রক্তছাপ
উড়ে গিয়ে জলস্নানে ধুয়ে নেয় পাপ
মানুষ তুমি কেবলই আহার
স্তব্ধ রাতের নির্জনতায়।
।। আবার আমি ফিরে এলাম ।।
আবার আমি ফিরে এলাম উদাসীন সমুদ্রে!
দ্রাক্ষারস পান করার চাইতে আমি শুয়ে থাকবো মায়ের অভ্যন্তরে।
অতিরিক্ত ভালোবাসার জন্য আর বিদ্রুপ সইতে হবে না।
আমার আত্মা সবুজ দেশ খুঁজবে না, হাহাকার করবে না,
আমার চক্ষু সেই প্রিয় পথ, সেই নিষ্ঠুর মুখচ্ছবি খুঁজে ফিরবে না।
দিগন্তহীন গাঢ় অন্ধকার রঙের অবশেষ ছাড়া এখানে আর কিচ্ছু নেই...
এবং সব রঙ মিলিত হয়েছে এক জলে,
সেই জল গড়িয়ে পড়ছে চিবুকে যা আমি অনুভব করি!
এর স্বর মৃত্যুর মতো...
এখন সন্ধান বৃথা!
না দেখি আমার প্রিয় সেই স্বদেশ, না সেই প্রিয় মুখচ্ছবি।
।। এখনো কালো রাত দেখি ।।
এখনো কালো রাত দেখি
বাংলার আকাশে।
শুধুই অন্ধকার আমার বুকের ভেতর
সমস্তদিন, সমস্তরাত...
কোনো আলো নেই
আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না!
এখনো সে রাক্ষসের মতো
থাবা মেরে বসে আছে আকাশে।
আমি চাঁদ দেখি না,
কেবল রাক্ষসের মুখ দেখি!
তুমি বলে দাও, আমি তাকে ভয় পাইনি;
তুমি পাথর নিক্ষেপ করে সেই ভয়ংকরকে
শান্ত করে দাও।
পানির ভেতর তো কুমির থাকবেই
তার স্বভাবে সে মাংস ভক্ষণ করবে
পারলে সমস্ত মাটিও...
তোমার কাজ কুমিরের বংশকে নির্বংশ করা।
যদি তুমি তির ছুঁড়তে না জানো
যদি তুমি স্বাধীন হতে না পারো
যখন ঝড় আসবে তুমি ছিটকে পড়বে
কেউ এগিয়ে আসবে না
যে যার মতো ছুটে পালাবে
এবার অন্তত শৃঙ্খলের দাসত্ব থেকে
তোমার হাত অবমুক্ত করো,
গর্জে ওঠো অতলান্তের স্রোতের মতো!
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে