ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

সাক্ষাৎকারে আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম

রাজনীতিবিদরাই স্বপ্ন দেখায়, রক্ষা করে মানুষের স্বার্থ

  আল-রাজী মাহমুদ অনিক

প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩:৪৮  
আপডেট :
 ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:৪৯

রাজনীতিবিদরাই স্বপ্ন দেখায়, রক্ষা করে মানুষের স্বার্থ
আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম

আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে এক সুপরিচিত নাম। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে, জেল-জুলুম-নির্যাতন ভোগ করে আজ এ পর্যন্ত এসেছেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীতে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তিনি।

ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগের সুপ্রতিষ্ঠিত নেতা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল এ সৈনিক শেখ হাসিনার দেশে ফেরার পর থেকেই ছিলেন তার ছায়াসঙ্গী। স্পষ্টভাষী নাছিম দলীয় কোনো অসঙ্গতি থাকলে অকপটে বলতে দ্বিধা করেন না। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। দলীয় বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে তিনি বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে মাদারীপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচত হয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন নাছিম। গত নির্বাচনে দলীয় সভানেত্রীর পরামর্শে প্রার্থী না হয়ে তিনি দলীয় নির্বাচনী পরিচালনা কমিটিতে থেকে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বিভিন্ন দায়িত্ব আস্থার সঙ্গে পালন করে আসছেন।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেশের রাজনীতির সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ জার্নালের সঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

বাহাউদ্দিন নাছিমের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলাদেশ জার্নালের নিজস্ব প্রতিবেদক আল-রাজী মাহমুদ অনিক। স্বাক্ষাৎকারের মূল অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

বাংলাদেশ জার্নাল: দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনীতির সবচেয়ে বড় সংকট কী?

বাহাউদ্দিন নাছিম: বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পারস্পরিক সম্মানবোধ, অন্যের মতকে শ্রদ্ধা করা এবং সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার মানসিকতা থাকা। আজ শিষ্টাচার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সত্য বলার সাহস অনেক রাজনীতিবিদ হারিয়ে ফেলছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অতিক্রম করছে। অনেক রক্ত ও সম্ভ্রমের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা এসেছে। বাংলাদেশের মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা স্বাধীনতার সপক্ষে থাকবে নাকি যারা স্বাধীনতা বিরোধীদের কাঁধে ভর দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় তাদের পক্ষে থাকবে। মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক বাঙালির বাংলাদেশ হবে নাকি সাম্প্রদায়িক পাকিস্তানি বাংলাদেশ হবে। এ ব্যাপারে রাজনীতিবিদদেরই জনমত গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রশ্নে সব রাজনীতিবিদদের আপোষহীন হতে হবে।

এখন জাতির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন সোনার বাংলা গড়ে তোলা। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ জার্নাল: সম্প্রতি একজন সংসদ সদস্য সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, প্রধান তিনদলের দলনেতা গত তেরো বছরে এক টেবিলে চা খেতে পারেননি। পারস্পরিক অসহিষ্ণুতার কারণেই বিদেশি শক্তি সুযোগ নিচ্ছে। আপনার কথাতেও পারস্পরিক সম্মান সহমর্মিতার কথা উঠে এসেছে। এ বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখেন?

বাহাউদ্দিন নাছিম: দেশ নিয়ে যারা ভাবেন, স্বাধীনতার পক্ষে যারা চিন্তা করেন তাদের সঙ্গে এখনো সব সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়নি। এতটা নেতিবাচকভাবে দেখার মত কিছু হয়নি বলে আমি মনে করি। রাজনীতিবিদগণ হচ্ছেন আলোক দিশারী। তাদের আলো খুঁজতে হবে। অন্ধাকারের বার্তা দিয়ে নিজেকে অসহায় হিসেবে প্রকাশ করে মানুষকে হতাশাগ্রস্ত করা রাজনীতিবিদদের কাজ নয়। তাদের হতে হবে আশার বাতিঘর। মানুষ তাদের থেকে আশার আলো পাবে। রাজনীতিবিদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, সবার মানসিকতা একরকম নয়। সেটার বিচারও জনগণ করে। রাজনীতিবিদদের বিচার করার জন্য জনগণই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে।

বাংলাদেশ জার্নাল: সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার কিছু নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার এটাকে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল। যদি আমি বলি, আমেরিকা কী বললো তাতে কী আসে যায়! কিন্তু আমি অতটা হালকা ভাবেও বলছি না। আমেরিকা একটি পরাক্রমশালী রাষ্ট্র। তাদের নীতি অনুযায়ী তারা তাদের মতামত দিতে পারে। কিন্তু আমি বলতে চাই সেইসব দেশিয় শক্তির কথা, যারা বিদেশিদের কাছে চিঠি লিখে, লবিস্ট নিয়োগ করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করে, দেশের সমৃদ্ধিকে ভূলুণ্ঠিত করতে চায় তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ করতে যারা টাকা পাচার করে, তাদের সেই টাকার উৎস কী? বিএনপির পুরানা পল্টনের কার্যালয়ের ঠিকানা ব্যবহার করে চিঠি দেয়া হয়েছে। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল কী করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদেশিদের সাহায্য নিয়ে ষড়যন্ত্রে শামিল হতে পারে সেকথা আমার বুঝে আসে না। তাদের এই টাকা কী জনগণের টাকা? এসব প্রশ্নের উত্তর আমরা জানতে চাই। নাগরিক হিসেবে জানার অধিকার আমাদের আছে। সরকারকে উদ্যোগ নিয়ে প্রকৃত ঘটনা জনগণের কাছে প্রকাশ করার দাবি জানাই। এরাই দেশবিরোধী শক্তি। বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনীদেরকে বিএনপি পুনর্বাসন করেছে। তাদের সংসদ সদস্য করেছে। বিএনপি খুন, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির প্রবক্তা।

বাংলাদেশ জার্নাল: আগামী জাতীয় নির্বাচন ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সহযোগী রাষ্ট্রগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানিয়েছে। স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন কি আপনি?

বাহাউদ্দিন নাছিম: স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করা কখনোই আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ না। আগামী দিনে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আনন্দের সঙ্গে নির্ভয়ে মানুষ ভোট প্রদান করবে। শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনকে আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে সহযোগিতা করবে। বিদেশি বন্ধুরা আসবে, খোঁজ রাখতে চাইলে খোঁজ রাখবে, এটা তাদের বিষয়।

বাংলাদেশ জার্নাল: বেশ কজন সংসদ সদস্য সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন তারা সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে সঠিক মূল্যায়ন পান না। তাহলে কি দেশ আমলা নির্ভর হয়ে পড়েছে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করেন দেশের জন্য, মানুষের জন্য। রাজনীতিবিদরা প্রতিমুহূর্তে দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহি করেন। জনগণের স্বার্থ রক্ষা জনপ্রতিনিধিরাই করেন। একজন আমলা জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় জনগণের সেবার জন্য কাজ করেন। তারা কখনো শাসক নয়। সেবকের মানসিকতা তাদের থাকতে হবে। রাজনীতিবিদরাও জনগণের সেবক। কেউ জনগণের প্রভু না। তবে জনপ্রতিনিধিদের সম্মান করা, তাদের সহযোগিতা করা এটা সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। কারণ জনগণ তাদের প্রতিনিধিদের কাছে সবসময় যায় তাদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে। জনপ্রতিনিধিদের অসম্মান করা অবমূল্যায়ন করার কোন সুযোগ নেই। এটা করা হলে সেটা সম্পূর্ণ বেআইনী, সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।

বাংলাদেশ জার্নাল: অনেক সরকারি চাকরিজীবী অবসরের পর রাজনীতিতে যুক্ত হচ্ছেন। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্যও হচ্ছেন। তাদের এই অবসর পরবর্তী রাজনৈতিন নেতা হওয়ার বাসনাকে কিভাবে দেখেন আপনি?

বাহাউদ্দিন নাছিম: নতুনভাবে নতুন যাত্রা যদি শুভলক্ষণ হয় তাহলে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা দেখেছি এটা কোন শুভ লক্ষ্মণ নয়। বিরাজনীতিকরণের পথকেই এরা সুগম করে। অবসরের পর পূর্ণ পেনশন, গ্রাচুইটিসহ সকল সুবিধাদি নিয়েই আবার রাজনীতিতে আসে। সেই অর্থের যোগানও জনগণই দেয়। এটা তাদের উচ্চাভিলাস, যা রাজনীতিবিদদের ভাবমূর্তিকে কলুষিত করে, রাজনীতিবিদদের প্রতি জনগণের আস্থার জায়গাতে চিঁড় ধরায়। এই সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল: চলমান ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে স্থানীয় এমপি-মন্ত্রী কাজ করলে এবং বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে দল কী পদক্ষেপ নিয়েছে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: আমরা চেয়েছি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হোক। সেটাই হয়েছে। এই নির্বাচনে সব দল আসবে বলে আশা করেছিলাম আমরা। কিন্তু অনেকে আসতে পারেনি। তবে বিএনপি পরিচয় আড়াল করে ঘোমটা পরে কোথাও কোথাও নির্বাচন করেছে। দেশব্যাপীই তারা প্রার্থী দিতে পারতো। কিন্তু সৎ সাহসের অভাবে তারা আসেনি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষে মনোনয়ন বঞ্চিত আওয়ামী লীগের কেউই দাঁড়িয়েছে। তবে যারাই বিদ্রোহী হয়েছে শক্তভাবেই তাদের ব্যাপারে দলীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এমপি-মন্ত্রী যারা প্রতীকের বিপক্ষে কাজ করেছে বলে অভিযোগ এসেছে। সেসব নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। আসলে ভোটে দাঁড়ানোতো সবারই মৌলিক অধিকার। কাউকেতো জোর করে বসিয়ে দেয়া যায় না। ইউপিতে আমরা হেরেছি এমন না, প্রতীক নিয়ে হোক, স্বতন্ত্র হোক আমরাইতো আছি। আমরাই জয়লাভ করেছি।

বাংলাদেশ জার্নাল: নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু নির্বাচনের একটি মাইলফলক হিসেবে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। বড় কোনো বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিলো এই নির্বাচন। কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে নির্বাচন সমন্বয় কমিটিতে আপনিও ছিলেন। সেখানে কোনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন কি? আইভি রহমান-শামীম ওসমান দ্বন্দ এখানে কোন প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে কিনা?

বাহাউদ্দিন নাছিম: আসলে এটা কোন কমিটি ছিলো না। এটা ছিলো একটি টিম। অনেকে লিখেছেন অমুকের নেতৃত্বে কমিটি। এটা আসলে ঠিক না। নেতাতো আমাদের একজনই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সবাই কাজ করি। বিএনপির যেমন খালেদা জিয়াও নেতা, তারেক রহমানও নেতা। আওয়ামী লীগে এমন না, আমাদের নেতা একজনই, আমরা সবাই তার নেতৃত্বে একসঙ্গে টিম হিসেবে কাজ করি। সেখানে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে জনগণের সঙ্গে কাজ করেছি। নারায়নগঞ্জ কোনো বিচ্ছিন দ্বীপ না। এটা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতই একটি অংশ। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী শহর, বন্দরনগরী। সেকারণে নেত্রী আমাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমরা কাজ করেছি। নারায়ণগঞ্জ কোণো ব্যক্তির জেলা না। এটা দানবীয় শক্তির আস্ফালনে ভীতসন্ত্রস্ত নগরী না। এটা বাংলাদেশের অন্যান্য জনপদের মতই। এখানে যদি কেউ ভয় ভীতি দেখানোর চেষ্টা করেও থাকে, একটা সময় এসে সেটা ম্রিয়মাণ হয়ে গেছে। যার প্রতিফলন ভোটের মধ্য দিয়ে হয়েছে। আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। শেষ পর্যন্ত শুভ শক্তির বিজয় হয়েছে, শেখ হাসিনার বিজয় হয়েছে, নৌকার বিজয় হয়েছে। এই নির্বাচনের রায়ের ভেতর দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শক্তভাবে দাঁড়ালে জনগণকে পাশে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল: আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ কতটা আশাবাদী?

বাহাউদ্দিন নাছিম: আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্যারামিটারে বাংলাদেশ সামাজিক অর্থনৈতিক দিক থেকে যে অবস্থানে পৌঁছেছে। তা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার বলিষ্ট ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মানেও তাঁকে ভূষিত করা হয়েছে। শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্ন দেখাননা, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন।

বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার পক্ষেই থাকবে, উন্নয়নের পক্ষেই থাকবে। এবং আবারো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে বলে আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি।

বাংলাদেশ জার্নাল: তরুন প্রজন্মের যারা রাজনীতিতে আসছে তাদের উদ্দেশ্যে আপনার কী বলার আছে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: এটা অত্যন্ত চমৎকার একটি প্রশ্ন। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ তরুণ ভোটার। এটা সবসময় সব দেশে থাকে না। এটা আমাদের জন্য একটি সৌভাগ্য। এই তরুণ প্রজন্মই বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে, সমৃদ্ধির পথে নেতৃত্ব দিবে, টেনে সামনে নিয়ে যাবে। এই প্রজন্মই অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন সোনার বাংলা বিনির্মান করবে বলে আমি আশাবাদী।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত