ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সরকার যাদের নাম দেবে তারাই নির্বাচন কমিশনার হবে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:১১

সরকার যাদের নাম দেবে তারাই নির্বাচন কমিশনার হবে

সার্চ কমিটিকে সরকারের পক্ষ থেকে যাদের নাম দেয়া হবে তারাই নির্বাচন কমিশনার হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।‘নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে’ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রপতি সংলাপ প্রসঙ্গে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কি লাভ হলো? আমরা কিন্তু পরিষ্কারভাবে পাবলিকলি বলেছি, এই নাটকে আমরা অংশগ্রহণ করবো না। আজকে প্রমাণিত হয়েছে কি না রাষ্ট্রপতির সংলাপ নাটক ছিলো? রাষ্ট্রপতির সংলাপে কিন্তু এখন আর অর্থ নাই। কেনো না, এই সরকার এদেশের জনগণকে আবার ধোঁকা দেয়ার জন্য একটা আইন করেছে। আইন মোতাবেক নির্বাচন কমিশন করার জন্য সার্চ কমিটি করেছে। আর রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সার্চ কমিটি করবেন। রাষ্ট্রপতি করেছেন? করেন নাই। ওই আইন করেছে।

‘এই আইনে আজকে কাদেরকে সার্চ কমিটিতে নেয়া হয়েছে, সকলেই আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলো। তারা আজকে সার্চ কমিটি। কি সার্চ কমিটি, মাশাল্লাহ। এই সরকার থাকবে, সার্চ কমিটি তাদের হবে। এই সার্চ কমিটিকে শেখ হাসিনা বা সরকারের পক্ষ থেকে যাদের নাম দেবে তারাই নির্বাচন কমিশনার হবে। এটাতে অংশগ্রহণ করা, এটাতে মাথা ঘামানোকে আমরা মনে করি, অর্থহীন। তাই এব্যাপারে আমরা কোন গুরুত্ব দেই না। এই যে নাটক, এই নাটক হচ্ছে- এই সরকার আবার ক্ষসতায় টিকে থাকার জন্য আরেকটি ডাকাতির নির্বাচন করার জন্য।’

সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা বলতে চাই, এনাফ ইজ এনাফ। অনেক হয়েছে। আর নয়। আজকে শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, আন্তর্জাতিক বিশ্বও কিন্তু বলে দিয়েছে, এনাফ ইজ এনাফ। আর এটা চলবে না।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিশ্চিয় তারা সরকারের এমন কিছু গুপ্ত সংবাদ জেনেছিল যার জন্য তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল। দু:খজনক হচ্ছে, আজ ১০ বছর চলে গেছে, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের যে তদন্ত রিপোর্ট, বিচার তো পরের কথা- তদন্ত রিপোর্ট এখন পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না।

‘এনিয়ে তদন্ত কমিটি কোর্ট থেকে ৮৫ বার সময় চেয়েছে! কি পরিমান একটা স্বৈরাচারি এবং কি পরিমান একটা নির্যাতিত সরকার হলে, দুজন সাংবাদিকের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট তারা ১০ বছরেও তছরুপ করতে পারে না। এটা সঠিক পারে না যে তা নয়। করবে না। করলে এমন কিছু তথ্য প্রকাশিত হবে, যে তথ্য এই সরকারের জন্য সুখকর হবে না।’

সরকারকে উদ্দেশ্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আপনারা তো ১০ বছর এই তথ্য দিচ্ছেন না। সাগর রুনি কি তথ্য দিয়েছিল? আজকে যে তথ্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আপনার সব বেরিয়ে যাচ্ছে, এটার জন্য দায়ী কে? কিভাবে ঠোকাবেন? সাগর-রুনির সেই রহস্যকে ধামাপাচা দিয়ে কিন্তু এই সরকার পার পাচ্ছে না। দেশে-বিদেশে আজকে প্রতিনিয়ত এই সরকারের মন্ত্রীদের, এই সরকারের কর্তাব্যক্তিদের এবং এই সরকারের ব্যবসায়ীদের তথ্য ও কথোপকথনসহ সব কিন্তু বেরিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি গণতন্ত্র বুঝে না- প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি বলছে- গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা আন্দোলনে আছি। যদি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলনে থাকি তাহলে আমরা গণতন্ত্র বুঝি না, এই কথা বলা কতো অসার এবং হাস্যকর- এটা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।

এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় সভায় ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব, এনডিপির চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, ডিএল এর সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, এনপিপির প্রেসেডিয়াম সদস্য নবী চৌধুরী, মুখ মহাসচিব মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ কেএস/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত