ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩২ মিনিট আগে
শিরোনাম

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনে সারা বিশ্ব জেগে উঠেছে: গয়েশ্বর

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২২, ১৭:৩৫  
আপডেট :
 ১৮ আগস্ট ২০২২, ১৭:৪০

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনে সারা বিশ্ব জেগে উঠেছে: গয়েশ্বর

বাংলাদেশ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সারা বিশ্ব জেগে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেতের বাংলাদেশ সফরের মধ্যে বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় কিশোরগঞ্জে বন্যা পরবর্তী দুর্গত মানুরে ফ্রি মেডিকেল সেবা এবং বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন গয়েশ্বর।

এ সময় বিগত ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়ে গ্রেপ্তার অবস্থায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর নির্যাতন এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সাবেক এমপি ও বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীকে গুম এবং বুদ্ধিজীবী ও লেখক ফরহাদ মাজাহারের অপহরণ এবং দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে বন্দি অবস্থা প্রসঙ্গ তুলে ধরেন গয়েশ্বর।

তিনি বলেন, বিগত ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়ে আমাদের নেতা তারেক রহমানের ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে উপর থেকে ফেলে দিয়ে তার কোমর ভেঙে দেয়া হয়েছে।

গয়েশ্বর বলেন, আমরা আগে শুনতাম বিভিন্ন জেলা, থানা ও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের টর্চার সেল আছে। কিন্তু তারেক রহমানকে সরকার চালিত টর্চার সেলে নির্যাতন করা হয়েছিল। সেই সেল এখনও আছে বলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাতে শোনা যায়। আপনারা জানেন না সেখানে অনেক অজানা মানুষ এখনও আটক আছে। মাঝে মধ্যে এক-দুইজন ছাড়া পেলেও তারা কথা বলে না, চুপচাপ দেশ থেকে বেরিয়ে যায়।

বুদ্ধিজীবী ও লেখক ফরহাদ মাজাহার অপহরণ প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, কয়েক বছর আগে বুদ্ধিজীবী ও লেখক ফরহাদ মাজাহারকে ঢাকা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে তাকে খুলনা থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। অপহরণকারীদের সাথে পুলিশের ঝগড়া হয়েছিল সেদিন। তাহলে অপহরণকারীরা কারা? তারা দেশী নাকি ভিনদেশী? অর্থাৎ ভিনদেশীরাও আমাদের দেশের মানুষ তুলে নিয়ে যায়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সাবেক এমপি ও আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন এম ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে। তাকে কারা নিয়েছে এবং কোথায় নিয়েছে? আজ পর্যন্ত আমরা জানতে পারিনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এ যে গুম, খুন, নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আওয়ামী লীগ সরকার সাবলিলভাবে করতে পারে। এর বিরুদ্ধে সারাবিশ্ব জেগে উঠেছে।

তিনি বলেন, জনগণের নেত্রী খালেদা জিয়া আজ গৃহবন্দি। জনগণের নেত্রী যদি গৃহবন্দি থাকে; জনগণও মুক্ত থাকতে পারে না। জনগণের দুর্দশা দেখার কে দেখবে। যিনি আমাদের নিয়ে এখন কাজ করছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিনি আমাদের সঙ্গে থাকতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে নিজ জন্মভূমি ছেড়ে তাকে লন্ডনে থাকতে হচ্ছে। সেখানে তিনি শখ করে যাননি। নির্যাতনের কারণে গুরুতর অবস্থায় জীবন রক্ষায় চিকিৎসার জন্য তাকে সেখানে যেতে হয়েছে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তারপরও আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের পাশে ছিলাম এবং আছি। গত করোনাকালে দেশের সর্বত্র আমরা ফ্রি মেডিকেল সেবা, ওষুধ, অক্সিজেন এবং দুস্থ মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার এবং নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। বন্যাকালেও আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরাও যে ভালো আছি তা নয়। আমাদেরও কষ্ট করতে হয়। আমাদের প্রতিদিন আদালতে হাজিরা দিতে হয়। এই মামলার টাকাও জোগাড় করতে অনেক কষ্ট হয়।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত