ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত কুবি: ফাঁকা গুলি-ককটেল বিস্ফোরণ, সংঘাতের শঙ্কা

  কুবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২২, ২০:১৬  
আপডেট :
 ০১ অক্টোবর ২০২২, ২১:০৫

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত কুবি: ফাঁকা গুলি-ককটেল বিস্ফোরণ
অর্ধশত মোটরসাইকেল নিয়ে দেড় শতাধিক নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। ছবি: প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ অর্ধশত মোটরসাইকেল নিয়ে দেড় শতাধিক নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং বঙ্গবন্ধু হলে প্রবেশ করে। এ সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পাসে প্রবেশের পর প্রধান ফটক থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত মোটরসাইকেল শোডাউন করেন তারা। শহীদ মিনার থেকে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে অবস্থান নেয়। ককটেল বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি ছোড়া হয় হলের দিকে।

এ সময় সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের (২০১৭ সালের কমিটি) অনুসারীদের বের হয়ে আসতে বলেন। তারা সাবেক সাধারণ সম্পাদক (২০১৫ সালে গঠিত কমিটির) রেজা-ই-এলাহীর পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা হলের নিচে থাকা সাইকেল ভাঙচুর করেন। প্রায় ২০ মিনিট ক্যাম্পাসে অবস্থান করার পর ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দীকী ও হল প্রভোস্টরা এসে তাদের সরিয়ে নেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, পরে ইলিয়াসের অনুসারীরা তাদেরকে প্রতিহত করতে গেলে তারা ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। এ সময় ইলিয়াসের অনুসারীদের হাতে রামদা, হকস্টিক ও লাঠিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। প্রধান ফটকের সামনে এসে তারা প্রক্টরের সাথে বাগবিণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। ‘ক্যাম্পাস ও প্রধান ফটক বন্ধ থাকার পরও কিভাবে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে শোডাউন করে’ তারা জানতে চান। তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, পুলিশ প্রশাসনের সামনে কিভাবে অস্ত্রসহ বহিরাগতরা শোডাউন দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা প্রভোস্টদেরকে নিয়ে বসেছি এবং উপাচার্যের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।’

ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ থাকবে কিনা- জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ‘আমি তাদের সাথে কথা বলতেছি।’

এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কুবি ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি করা হয়। তবে শুরু থেকে কমিটি বিলুপ্তের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপ। সভাপতির পক্ষ থেকে কমিটি বিলুপ্তের কথা বলা হলেও সাধারণ সম্পাদক বলছেন কমিটি বিলুপ্ত করা হয়নি।

এদিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিবাদমান দুইটি গ্রুপ কমিটি বিলুপ্তি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান করছেন। এতে সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত