বাম জোটের সংবাদ সম্মেলন
সভা-সমাবেশে বাধা দিয়ে অধিকার হরণ করা হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:০০
‘সরকার ও পুলিশ কর্তৃক বিরোধী মত দমনের হীনপথ পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ করতে দেয়া, বিএনপি অফিসে হামলা, টিয়ার সেল নিক্ষেপ ও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত দায়ী পুলিশের বিচার এবং মির্জা ফখরুলসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দের মুক্তি, নিহতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, আহতদের সুচিকিৎসা প্রদান এবং গণগ্রেপ্তার ও গায়েবি মামলা বন্ধের জোর দাবি জানানো হয়েছে।’
শুক্রবার দুপুর ১২টায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। সভায় গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, সভা-সমাবেশে বাধাদান, হামলা-গায়েবি মামলার প্রতিবাদ এবং ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী ১৩ ডিসেম্বর দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দিবস পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ ২ কমরেড মণি সিংহ রোডের মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাম জোটের সমন্বয়ক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। এ সময় বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতা বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সভা-সমাবেশ-মিছিলে বাধাদান করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারকে ক্রমাগত হরণ করে চলেছে। দেশের অর্থনীতির ভঙ্গুর চিত্র প্রতিদিনের সংবাদপত্রের খবরে প্রকাশ পাচ্ছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংক ডাকাতেরা ঋণ নিয়ে ফেরৎ না দিয়ে বিদেশে পাচার করে ব্যাংকগুলো ফোকলা করে ফেলেছে। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা চাল-ডাল-তেল-চিনিসহ নিত্য পণ্যের দাম দফায় দফায় অস্বাভাবিক বৃদ্ধি করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগ ক্রমাগত বাড়িয়ে তুলেছে। আর গণতন্ত্রহীনতা ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশে বিদেশি শক্তি ও দেশের অভ্যন্তরের অন্ধকারের শক্তিও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিএনপির ঢাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে জনসভার স্থান নিয়ে সরকার বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে মূল সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টি আড়াল করে দেশের সম্পদ লুণ্ঠন, ব্যাংক ডাকাতি, অর্থপাচার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ জনজীবনের সংকট নিরসনে সরকার তার ব্যর্থতা ঢাকার অপচেষ্টা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পাল্টাপাল্টি বাকযুদ্ধের পরে ৮ ডিসেম্বর রাতে জনসভার স্থান নিয়ে সমঝোতায় আসার খবর শুনে মানুষ যখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছিল তার পরেই গভীর রাতে মির্জা ফখরুলসহ নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পুনরায় জনমনে উৎকণ্ঠা বেড়ে গিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সব বাম-গণতান্ত্রিক শক্তি ও ব্যক্তিকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি