ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডাকসু নির্বাচন করতে না পারা প্রশাসনের ব্যর্থতা: কাদের

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৩, ১৮:৫৯  
আপডেট :
 ১০ মার্চ ২০২৩, ১৯:৩০

ডাকসু নির্বাচন করতে না পারা প্রশাসনের ব্যর্থতা: কাদের
ঢাবির হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল মাঠে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন প্রতিবছরই হওয়ার কথা। এটা করতে না পারা প্রশাসনেরই ব্যর্থতা। এতে আওয়ামী লীগের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।

শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল মাঠে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। এর আগে তিনি হলের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

খালেদা জিয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতির বিষয়টা আদালতের এখতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী মানবিক কারণে তাকে বাসায় থাকতে দিয়েছেন। এর অর্থ এই নয় যে, তার সাজা বাতিল হয়ে গেছে। তিনি (খালেদা জিয়া) রাজনীতি করবেন নাকি নির্বাচন করবেন সেটা আদালতের বিষয়।

‘দেশের জনগণের প্রতি আওয়ামী লীগের কোনো দায় নেই’ বিএনপি মহাসচিবের মন বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এসব বক্তব্যের জবাব দিতে আমি মোটেও আগ্রহী নই। তাদের গণআন্দোলন যখন ভাটার টানে ম্রিয়মাণ হয়ে পড়ে, তখন তারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে দিগ্বিদিক কথা বলে। আর সেজন্য তারা আবোল-তাবোল বলছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনো তারা লুটপাট এবং আয়েশি জীবন যাপন করেছে এবং এখনো তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পলাতক অবস্থায় বিদেশে বসে আয়েশি জীবন যাপন করছেন। সেখানে তাদের মুখে আয়েশি জীবনের কথা আওয়ামী লীগকে বলা শোভা পায় না।

কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নিজেদের পকেটের উন্নয়নের রাজনীতি করেন। আর শেখ হাসিনা জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে রাজনীতি করেন। কে কী বলছে, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। আমরা যা করেছি, মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্যই করছি। যারা লুটপাট করেছে, তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলেই তারা আজ ক্ষমতায় নেই।’

এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের আয়োজকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রধান অতিথি সময়মতো আসব। কিন্তু আমার জন্য বাকিদের বসিয়ে রাখা হয়েছে কেন? সবাই এখানে ব্যস্ত মানুষ। আমি আয়োজকদের কাছে এর উত্তর চাই।’

কাদের বলেন, ‘এই প্রোগ্রাম অ্যালামনাইয়ের। কিন্তু এটি আমার কাছে অ্যালামনাইয়ের পরিবেশের মতো মনে হচ্ছে না। এখানে কুশল বিনিময়, আড্ডা হবে। এই আড্ডা টিএসসিতে ভালো মানায়। এটা কি কোনো এলামনাইয়ের পরিবেশ? আপনারা বলেছেন, অনেক লোক আসবে। কিন্তু পেছনে তো সব চেয়ার খালি।’

অ্যালামনাইয়ের অনুষ্ঠানে সব দলের লোকজন দাওয়াত না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। তার মতে, ‘হলের অ্যালামনাইয়ের এই প্রোগ্রামকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে।’ তিনি এসব অনুষ্ঠানকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখার পরামর্শ দেন। বলেন, ‘অ্যালামনাই যদি করতে চান, তাহলে এটিকে নন-পলিটিক্যাল বানান। সব জায়গায় পলিটিক্স করতে চাই না। আর সব জায়গায় রাজনীতি চলেও না। কিছু কিছু জায়গা রাজনীতি থেকে বাইরে রাখতে হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রিত অনুষ্ঠান হবে এটা কাম্য নয়।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অ্যালামনাইয়ে মন্ত্রীকে এনে প্রধান অতিথি করতে হবে, এটির সঙ্গে আমি একমত নই। কোনো প্রধান অতিথি হবে না। মন্ত্রী সাবেক আবাসিক ছাত্র হিসেবে আসবে। সবার একই স্ট্যাটাস। সাবেক ছাত্র হিসেবে আমরা আসব। আড্ডা দেব, কুশল বিনিময় করব। পুরোনো দিনের স্মৃতির রোমন্থন করব। এটা কোনো পলিটিক্যাল আসর নয়। প্রথমবারের মতো এই পুনর্মিলনী হচ্ছে, ভালো। পরবর্তীতে যেন এটিকে নন-পলিটিক্যাল আ্যলামনাই হিসেবে দেখতে পাই। ভবিষ্যতে আজকের এই ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেটি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।’

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত