যেভাবে ধরা পড়লেন বিএনপি নেতা চাঁদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৩, ১৬:১৮ আপডেট : ২৫ মে ২০২৩, ১৬:২৮

প্রধানমন্ত্রীকে কবরস্থানের পাঠানোর হুমকিদাতা বিএনপি নেতা আবু সাঈদ ওরফে চাঁদ কয়েকদিন ধরেই গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি নিজের মোবাইল ফোনও সঙ্গে রাখেননি। সর্বশেষ প্রাইভেটকারে করে পালানোর সময় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছে। রাজশাহী জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ যৌথভাবে সড়কে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে একটি প্রাইভেট কার থেকে গ্রেপ্তার করে। তাকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ এ কথা জানায়।
|আরও খবর
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর ভেড়িপাড়া মোড় থেকে আবু সাঈদকে একটি প্রাইভেটকার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে নগরের সিঅ্যান্ডবি মোড়ে আরএমপির সদর দপ্তরে আনা হয়।
আরএমপি কমিশনার আনিসুর রহমান রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ায় রাজশাহীর পুঠিয়া থানায় প্রথমে আবু সাঈদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন বলেন, বিভিন্ন অপরাধে আবু সাঈদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ২০ থেকে ২৫টি মামলা ছিল। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির ঘটনায় রাজশাহী জেলা ও মহানগরের থানাগুলোতে আরও ছয় থেকে সাতটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন থানায় বেশ কিছু মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। আদালতে আবু সাঈদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে কি না তা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নেবেন। এ ছাড়া দেশের অন্য থানাগুলোতে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়েও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় শিবপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে পুঠিয়া থানায় গত রোববার আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
এই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আবু সাঈদ তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানো হবে, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানো হবে এবং তাঁকে পদত্যাগ করানোর জন্য যা যা প্রয়োজন, তা আমরা করব।’
এ ঘটনার জের ধরে রাজশাহী নগরের রাজপাড়া ও কাশিয়াডাঙ্গা থানায় আবু সাঈদের নামে আরও দুটি মামলা করা হয়। ওই মামলা দুটিতে বাদী হয়েছে পুলিশ। মামলায় আবু সাঈদ চাঁদের এক গোপন বৈঠকের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন বাতিলের উদ্দেশ্যে একটি গোপন বৈঠকের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই মামলা দুটিতে চার বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদ গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে