ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

নির্বাচনী সমস্যা সমাধানে বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় রাজি সরকার

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩, ১৮:৫৪  
আপডেট :
 ০৬ জুন ২০২৩, ২১:১৮

নির্বাচনী সমস্যা সমাধানে বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় রাজি সরকার
ফাইল ছবি

নির্বাচনী সমস্যা সমাধানে বিএনপির সঙ্গে সরকার আলোচনা করতে রাজি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে দেশে প্রতিনিধি পাঠানোরও আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ১৪ দলে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

আমু বলেন, দেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনী সমস্যা সমাধানে সরকার আলোচনা রাজি হয়েছে। সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা। বিএনপির সাথে যে কোনো আলোচনা হতে পারে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দ্বার সবসময় খোলা আছে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্ততায় বিএনপির সাথে আলোচনা হতে পারে।

আমু বলেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক। বগল বাজাবার কোনো সুযোগ নেই, বাহবা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করার ফন্দিফিকির গত দিনেও (অতীতে) আপনারা করেছেন। আজকেও করার অপচেষ্টা করছেন। বিগত সময় যেমন জাতিসংঘ তারানকো সাহেবকে পাঠিয়েছিল, আমাদের দুই দলকে একসঙ্গে নিয়ে মিটিং করে বুঝেছিলেন। আজকেও প্রয়োজনে এই ধরনের গড়াগড়ি না করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদল আসুক।

নির্বাচন ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে আমু বলেন, আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই। সু্ষ্ঠু নির্বাচন করার বাধা কোথায়? কীভাবে সেটা নিরসন করা যায়। এটা আলোচনার মধ্য দিয়েই সুরাহা হতে পারে। অন্য কোনো পথে নয়। অন্য কোনো পথে চেষ্টা করে যারা নির্বাচন বানচাল করে অসাংবিধানিক অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়, অসাংবিধানিক জিনিস আনতে চায়, তাদের প্রতিহত করা হবে।

গণতন্ত্র রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয়ের কথা উল্লেখ করে আমু বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, সংবিধানের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। সংবিধানকে সামনে রেখে যেকোনো সমাধান, যেকোনো কিছু করতে আমরা প্রস্তুত। আপনারা আসুন। এগিয়ে আসুন। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখবার স্বার্থে, গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আপনাদের সঙ্গে বসতে রাজি আছি। আলোচনার দ্বার খোলা। শেখ হাসিনা প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন, যেকোনো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে তিনি প্রস্তুত।

বিগত নির্বাচনগুলোতে বিএনপির অংশ না নেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে আওয়ামী লীগের এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করলেন কিন্তু সফল হলেন না। এবার নানা রকম অজুহাত তুলছেন। বিদেশিদের কাছে নানা রকম সাহায্য-সহযোগিতা চাচ্ছেন। ভিসা নীতিকে আশ্রয় করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। ভিসা নীতি কী, বৃক্ষ তোমার নাম কী, ফলেই পরিচয়। আজকে এটা বলার প্রয়োজন নেই। যখন এ বৃক্ষের ফল পড়বে, তখন দেখা যাবে এ বৃক্ষ কী, তখন আপনারা সবাই উপলব্ধি করবেন।

আবারও ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগের প্রসঙ্গ টেনে আমির হোসেন আমু বলেন, ২০১৩ সালে প্রথম যখন জিকির তুললেন নির্বাচনের ব্যাপারে, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে তারানকো সাহেবকে পাঠানো হলো। তিনি এসে আলাদা আলাদা বৈঠক করলেন, বিএনপির সঙ্গে, আমাদের সঙ্গে। পরবর্তী সময়ে যখন দুই দলকে নিয়ে যৌথ মিটিং করলেন, তখন প্রমাণিত হলো তাদের কথা কতটা অযৌক্তিক। আমরা কতটা যৌক্তিক ছিলাম।

একই কর্মসূচিতে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আমেরিকার ভিসানীতি দুরভিসন্ধিমূলক। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে বিএনপি বা সুশীল সমাজের কাছে ক্ষমতা তুলে দেয়া যায়। মার্কিন ভিসা নীতির কারনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবে বিএনপিকে বলবো-সাহস থাকলে সেই নির্বাচনে আপনারা আসেন।

সভায় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত