ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

চোখেমুখে বেঁচে থাকার নতুন স্বপ্ন

  আব্দুল্লাহ জুবায়ের

প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২১, ১৭:০৯  
আপডেট :
 ২৪ এপ্রিল ২০২২, ০১:৫৯

চোখেমুখে বেঁচে থাকার নতুন স্বপ্ন

দেড় বছরেরও বেশি সময় পর গত ১৮ অক্টোবর সশরীরে ক্লাস শুরু হওয়ায় চিরচেনা রুপে ফিরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এর সঙ্গে ক্যাম্পাসে থাকা হকারি দোকানদারদের মুখে ফুটেছে আশার আলো। ঘটেছে বেঁচে থাকা নিয়ে দুশ্চিন্তার অবসান। আবারো স্বপ্ন দেখছেন নতুন করে বাঁচার।

ফুচকা, খিচুড়ি, আইসক্রিম, ফুল, হাতের চুরি নিয়ে আবারো শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রয়ের আশায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অপেক্ষমাণ অনেক দোকানী। তাদের মধ্যে অনেকের দুই তিন দশক ধরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পদচারণা।

টিএসসি চত্বরের পাশেই ফুচকা বিক্রি করছিলেন রহিমুদ্দিন। তার চোখেমুখে দেখা যাচ্ছিল শান্তির ছাপ। ভালোকিছুর স্বপ্ন দেখা এই ফুচকা বিক্রেতা বলেন, ''দীর্ঘ দিন বাড়িতে ছিলাম কোন কামকাইজ না থাকায় কনেক কষ্ট কইরা দিন কাটছে। তয় এহন ছাত্ররা আইতাছে। বেচাকেনাও আগের মতো হওয়া শুরু করছে। এহন অনেক ভালো লাগতাছে। চলার জন্য কিছু টাকা ঋণ করছিলাম সেগুলা আল্লাহ দিলে এহন শোধ করতাছি।''

মেয়েদের সৌন্দর্য বর্ধনের একটি অন্যতম জিনিস হাতের চুরি। বিগত ত্রিশ বছর যাবত এই চুরি বিক্রি করে আসা এক বৃদ্ধা বলেন, ''করোনার সময় দেশে গিয়ে হাজারে দুইশ-একশ টাকা নিতে নিতে এক দেড় লাখ টাকা ঋণী এহন। আল্লাই যদি একটু রক্ষা করে। বেচাকেনাটা আগের মতো হয় তাইলে একটু বেঁচে থাকতে পারমু। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে তাই একটু বেচাকেনা হবে সেই আশায় আবার দোকান নিয়া বইছি।''

আইসক্রিম বিক্রেতা জানান, ''বারো বছর যাবত এইহানে আইসক্রিম বিক্রি করি। পোলাপান বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কারণে বেচাকেনা আগের মতো শুরু হইছে। করোনার দুই বছর অনেক কষ্টে আছিলাম। কিন্তু এখন আল্লাহ দিলে ভালোই আছি।''

ফুল বিক্রেতা মাজেদা (৬৫) বলেন, ''প্রায় ২০ বছর ধইরা এখানে ফুল বেচি বাবা। করোনার কারনে বাড়ি চইল্লা গেছিলাম। কেউ আমাগো কিছু দেই নাই অনেক কষ্ট নিয়াই ছিলাম। এখন আবার আসছি কলেজ খুলছে কিছু বেচা কিনা করতে পারমু কিছু খাইতে পামু এই আশায়।''

হাকিম চত্ত্বরের এক খিচুড়ি বিক্রেতা জানান, ''ঊনিশ মাস বাড়িতে ছিলাম কিছু করতে পারি নাই। দোকানপাট বন্ধ ছিলো। এই মাসে খুললাম। ছাত্রছাত্রীরা সবাই আইতাছে বেচাকেনা ভালো হইতাছে। সব থেকে বেশি ভালো লাগতাছে ক্যাম্পাসের খোলামেলা পরিবেশ। সবাই হাসিখুশি এটাই ভালো লাগতাছে।''

বাংলাদেশ জার্নাল/এমজে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত