ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

কখনো নারী, কখনো পুরুষ ব্লগার সাদমুআ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১৬:৫৪

কখনো নারী, কখনো পুরুষ ব্লগার সাদমুআ

মেকআপ টিউটোরিয়ালসহ বিউটি কেয়ারের নানা ধরনের ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েন মেকআপ আর্টিস্ট সাদ বিন রাবী ওরফে সাদমুআ। পরিচিতি পান ‘বাংলাদেশের প্রথম পুরুষ বিউটি ব্লগার’ হিসেবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে একজন নন-বাইনারি হিসেবে পরিচয় দেন সাদ। দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটিয়ে ‘নন-বাইনারি’পরিচয়ে চলতে প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ছেন সাদ। তবে পরিবার পাশে থাকায় পথ চলা অনেকটা সহজ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

ফেসবুকে ২ লাখ ও ইন্সটাগ্রামে ২৭ হাজার ফলোয়ার এবং ইউটিউব চ্যানেলে ৫৬ হাজার সাবস্ক্রাইবার নিয়ে একজন মেকআপ শিল্পী হিসেবে তিনি এখন একটি পরিচিত মুখ।

তার ভিডিও কন্টেন্ট মূলত মেকআপ টিউটোরিয়াল নিয়ে, যেখানে তিনি নিজের মুখের উপর বিভিন্ন ধরনের বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করে দেখান। একইসঙ্গে তিনি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিউটি ব্র্যান্ডগুলোর প্রোমোশনও করেন।

ভিডিও কন্টেন্টগুলো তিনি তৈরি করেন মহিলা দর্শকদের লক্ষ করে। বিষয়গুলো বহুমুখী হওয়ার কারণে মেকআপগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ আর সমসাময়িক হয়।

২১ বছর বয়সী সাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করেছিলেন ২০১৮ সালে। এখন ক্রমান্বয়ে তিনি একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে উঠছেন। মেকআপের প্রতি আকর্ষণটা তার শৈশব থেকেই, যখন তিনি প্রায়ই তার মায়ের মেকআপ প্রসাধনীগুলো লুকিয়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করতেন। তার এই মেয়েলি বৈশিষ্ট্যের কারণে তাকে বেশ কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করার পাশাপাশি নিজের স্বপ্নকে জীবনে বাস্তবায়ন করা। এমনকি এই একবিংশ শতাব্দীতেও পুরোনো চিন্তাধারার সামাজিক ব্যবস্থার মাঝে তাকে খুঁজতে হয়েছিলো একটি সাহায্যের হাত।

বিঃশ্বাস তার যা-ই হোক না কেন, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, তার সম্প্রদায়কে সেবা দেয়ার জন্য তাকে কিছু একটি খুঁজে বের করতেই হবে।

আর এখানেই এলো মেকআপের বিষয়টি। আসলে, তাকে কোথাও যেতে হয়নি। তার সবচেয়ে বড় সম্পদ ছিলো – তার মুখ এবং তিনি জানতেন যে কীভাবে আঁকতে হয়। তার মানে তিনি অবশ্যই একজন পুরুষ বিউটি ব্লগার হতে পারেন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, তার বিঃশ্বাস ছিলো যে- এই দক্ষতাটি সম্পূর্ণরূপে তার ব্যক্তিত্বের সাথে যায়।

সাদ বিশ্বাস করেন যে মেকআপ কেবল একটি মহিলার জিনিস নয়। এটি একজন পুরুষের ক্ষেত্রেও স্বাভাবিক। আপনি যা পছন্দ করেন তা কখনোই জোর করে আসার কথা নয়। এর জন্য প্রয়োজন স্বতঃস্ফূর্ততা।

এরপরও, মহান বিপ্লবের পথে একটি ছোট পদক্ষেপের জন্য প্রয়োজন একটুখানি উৎসাহ। আর এই উৎসাহ ছিলেন সাদের দাদী। তিনি সাদের পিতামাতার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সাদকে মেকআপ সরঞ্জাম কিনতে সহায়তা করেছিলেন। এছাড়া সাদের নিজেরও যথেষ্ঠ চেষ্টা ছিলো তার মেকআপের উপর দক্ষতা অর্জনের জন্য।

যাইহোক, সাদের কাজের মূল্যায়ন হওয়া শুরু করে নারী-পুরুষ উভয়ের দিক থেকেই। এখন তিনি প্রায়ই নতুন কিছু নিয়ে স্ক্রিনে আসার চেষ্টা করেন।

সম্প্রতি, তিনি কোরিয়ান মেকআপের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এইভাবে, তিনি প্রতিটি ছিটেফোটায় তার ভিতরের শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গি তার দর্শকদের পরিবেশন করে থাকেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত