ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিশ্বের কিছু বিস্ময়কর শিশু

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৩৩  
আপডেট :
 ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:৪৯

বিশ্বের কিছু বিস্ময়কর শিশু
সুবর্ণ আইজ্যাক

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানান সময়ে ঘটে আশ্চর্য কিছু ঘটনা। যেগুলো আমাদেরকে রীতিমত অবাক করে তোলে। এটাও কি সম্ভব? হুম পৃথিবীর এমন কিছু শিশু রয়েছে যারা তাদের ভিন্ন ধর্মী কাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ভাবতে বাধ্য করেছে। বিজ্ঞান, খেলাধুলা, প্রযুক্তি কিংবা শারীরিক কসরতেও তাদের অভাবনীয় কর্মের কথা জানান দিয়েছেন। মানুষকে ফেলেছেন ধাঁধাঁর মধ্যে। আজ জানাবো পৃথিবীর এমনই কিছু বিস্ময়কর শিশু সম্পর্কে।

সুবর্ণ আইজ্যাক বারী

বিশ্বের বিস্ময়কর শিশুদের নিয়ে বলতে গেলে তার কথা যে বলতেই হবে। মাত্র দেড় বছর বয়সে রসায়নের পর্যায় সারণী মুখস্থ করে ফেলা, দুই বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজে ইন্টারভিউ এবং ভয়েস অব আমেরিকায় সাক্ষাৎকার দেয়া, সাড়ে তিন বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্টে বারাক ওবামার চিঠি পাওয়া, তিন বছর বয়সে লেবুর সাহায্যে ব্যাটারি এক্সপেরিমেন্ট করা, পাঁচ বছর বয়সে অঙ্ক, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে দক্ষতা দেখিয়ে সারা পৃথিবীকে নাড়িয়ে দেয়া। এর সবটাই করে দেখিয়েছেন সুবর্ণ আইজ্যাক বারী। বলছি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আইজ্যাকের কথা। ২০১৩ সাল তার বয়স তখন সবেমাত্র এক বছর। জ্বরে কাতরাচ্ছিলেন বারী নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালের বেডে। ঠিক ওই সময়টাতে তার বাবা রাশীদুল বারী বললেন,‘আই লাভ ইউ মোর দ্যান অ্যানিথিং ইন দি ইউনিভার্স।’ আর সুবর্ণ আইজ্যাক বললো ‘ইউনিভার্স অর মাল্টিভার্স?’এই হলো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিস্ময়কর শিশু সুবর্ণ আইজ্যাক।

কায়রান

নয় বছর বয়সে কলেজের শিক্ষার্থী। ভুল কোন তথ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের ভর্তির গড় বয়স ১৭ থেকে ১৯, বড়জোর হলে ১৫ বা ১৪ বছরের নিচে ভর্তির রেকর্ড। তবে তা খুবই সামান্য। কিন্তু সেখানে বাংলাদেশের কায়রান গণিত ও রসায়ন বিষয় নিয়ে নয় বছর বয়সে কলেজে ভর্তি হন। এতো কম বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ার লাস পজিটাস কলেজের মতো কলেজে ভর্তি হন। কায়রানের এমন প্রতিভাকে হাফিংটন পোস্টের মাধ্যমে প্রথম সবার সামনে চলে আসে। জানা যায়, কায়রানের মা কাজী জুলিয়া চৌধুরী ও বাবা মোস্তাহিদ কাজী। তাদের পূর্বপুরুষ সিলেটের বাসিন্দা। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কায়রানকে নিয়ে এখন গোটা বিশ্ব হতবাক।

মোন ডেভিস

বেসবল তারকা মোন ডেভিস। মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকেই খেলার মাঠে নিজেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা খুদে অ্যাথলেটদের একজন হিসেবে গড়ে তুলেছেন । ‘রিমেম্বার হার নেম’ ঠিক এ নামে তাকে নিয়ে বিখ্যাত স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড তাদের ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ করেছিল। ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে নিজেকে দেখার পরই নিজের জাতটাও চিনিয়েছিলেন তিনি। হয়েছিলেন লিটল লিগ ওয়ার্ল্ড সিরিজের সেরা আকর্ষণ। তার দল ফিলাডেলফিয়ার হয়ে খেলায় মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। স্পোর্টস তারকা হিসেবে দিন দিন নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। এ বয়সেই তার খেলোয়াড়ী প্রতিভা বিস্ময়করই বটে।

আরাত হোসেইনি

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ছোট্ট শিশু। ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ৮ লাখ ৭ হাজারের বেশি। বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর। নাম আরাত হোসেইনি। ইরানের বাবোল শহরের বাসিন্দা। ইনস্টাগ্রামের ভিডিওতে আরাতের অদ্ভুত কীর্তি দেখলে স্বয়ং স্পাইডারম্যানও তাকে ফলো করতে বাধ্য হতো! সাড়ে তিন বছর বয়সে সে ১০ ফুট উচ্চতার দেয়াল বেয়ে উঠে পড়ে তরতর করে। এ ছাড়া জিমন্যাস্টিকসের নানা মুভ করে অবলীলায়। আরাতের বাবা মুহাম্মদ বাড়িতে নিজেই অল্পবিস্তর ট্রেনিং দিতে শুরু করেন তাকে। সেসব ভিডিও আপলোড করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ৫০০-এর ওপর ভিডিও আছে এই শিশুর।

নিকোলা বার

নিকোলা বার। বয়স ১২ বছর। বাবা-মায়ের সঙ্গে বাস করে ইংল্যান্ডের এসেক্সের হার্লোতে। বয়স কম হলে কী হবে- এই বয়সেই বুদ্ধির পরীক্ষায় নিকোলা ছাড়িয়ে গেছে মহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইনকে। মেনসার পরীক্ষায় তারও স্কোর ১৬২! মেনসার মতে, সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের গড় আইকিউ স্কোর ১০০। কারও আইকিউ স্কোর যদি ১৪০-এর বেশি হয় তবে সে জিনিয়াস। মেনসার একজন মুখপাত্র আনা ক্লার্কসন জানান, নিকোলা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রতিভাধর ১% মানুষের একজন। নিকোলার কাছে এ স্কোর অর্জনের পর তার অনুভূতি জানতে চাইলে সে বলেছিল, ‘এটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম।’ বাংলাদেশ জার্নাল/সেফু/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত