লং কোভিডের ঝুঁকি ও লক্ষণ
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১২:১২

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ অনেকটাই মৃদু। তবে করোনা সংক্রমণ একবার হলে শরীরে দেখা দেয় মারাত্মক সব সমস্যার। করোনাকালীন এ সময় সাধারণ সর্দি-কাশির সমস্যাকেও অনেক গুরুত্বের সাথে নিতে হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি আক্রান্ত হওয়ার পরও অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে। কারণ সুস্থ হওয়ার তিন মাস পরও করোনা রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। চিকিৎসকরা এ ধরনের সমস্যাকেই ‘লং কোভিড’ বলে থাকেন।
|আরো খবর
লং কোভিডের উপসর্গ কী?
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের করোনা রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, সুস্থ হওয়ার ৩-৪ মাস পরেও আগের মতো স্বাদ-গন্ধ পাচ্ছেন না অনেকেই। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হওয়ার পর অনেকের গন্ধের অনুভূতি ফিরতে অনেকের সময় লেগে গিয়েছে প্রায় ৩-৪ মাস। অনেকের আবার সম্পূর্ণ ফেরেনি। এ ছাড়াও, ক্লান্তি, পিঠে ব্যথা, মাথা ব্যথার মতো সমস্যা অনেকেই অনেক দিন পর্যন্ত অনুভব করছেন।
ওমিক্রনের পরও কি লং কোভিড হতে পারে?
বর্তমানে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এখনো ওমিক্রনের গতিবিধি সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য দিতে পারেননি চিকিৎসকরা।
তবে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা অনেকের মধ্যেই দীর্ঘমেয়াদি কাশি সারছে না সহজে, বলে জানা গেছে। এমনকি রোগীদের ক্লান্তিও কাটছে না বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এ সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষা জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্যতামূলক সবাইকে মাস্ক পরতে হবে ও হাত ধুতে হবে বারবার। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার বিষয়েও বারবার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: হেলথলাইন/টাইমস অব ইন্ডিয়া
বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম/এএম