ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

অতিথি পাখির কোলাহল জাহাঙ্গীরনগরে

  সাব্বির হোসন

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:০০

অতিথি পাখির কোলাহল জাহাঙ্গীরনগরে
ছবি- ইলিয়াস সাজু

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে বসেছে অতিথি পাখি মেলা। প্রতিবছর শীতের সময় এখানকার জলাশয়গুলো হয়ে ওঠে অতিথি পাখির নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র। পাখিদের আগমনে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বেড়ে যায় আরও কয়েকগুণ। প্রতি বছরের মতো এবারও ক্যাম্পাসে এসেছে অতিথি পাখির ঝাঁক। পুকুরসহ ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকটি জলাশয়ে আসর বসিয়েছে সুদূর সাইবেরিয়া বা পশ্চিম ইউরোপের শীতপ্রধান দেশগুলো থেকে আসা এসব অতিথিরা।

ক্যাম্পাসের আকাশজুড়ে পাখিরা উড়ে বেড়াচ্ছে আর জলকেলিতে মেতে উঠছে। পাখিদের কলকাকলি, ঝাঁকে ঝাঁকে বিচরণ আর খুনসুটিতে মুখর হয়ে উঠছে পুরো ক্যাম্পাস। এই ক্যাম্পাস এখন যেন পাখির রাজ্য। কিছু পাখি ডুবসাঁতার খেলছে, কিছু উড়ে যাচ্ছে আকাশে, এ ডাল থেকে ও ডাল ঘুরে আবার নেমে আসছে পানিতে। কিছু আবার পালকের ভেতর মুখ গুঁজে রোদ পোহাচ্ছে। মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় নামছে কিছু পাখি। সব মিলিয়ে যেন পাখিদের মেলা বসেছে। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে হিমালয়ের উত্তরে প্রচণ্ড শীত নামতে শুরু করে।

উত্তরের শীতপ্রধান অঞ্চল সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, চীন, নেপাল ও ভারতে প্রচুর তুষারপাত হয়। শীতের তীব্রতা সইতে না পেরে পাখিরা উষ্ণতার খোঁজে পাড়ি জমায় বিভিন্ন নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে। এ সময় হাজার হাজার অতিথি পাখি দক্ষিণ এশিয়ার নাতিশীতোষ্ণ দেশ বাংলাদেশে আসে। দেশের যেসব এলাকায় এসব পাখি আসে তার মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম।

অতিথি পাখিরা সাধারণত আসে হাওর এলাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জলাশয়ে। শীতকালের শুরুতে অর্থাৎ নভেম্বর-জানুয়ারিতে অতিথি পাখি আসে, আবার মার্চের শেষ দিকে ফিরে যায় আপন ঠিকানায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব পাখি আসে, তার মধ্যে বেশিরভাগই হাঁস জাতীয় ও পানিতে বসবাস করে। এর মধ্যে সরালি, পচার্ড, ফ্লাইফেচার, গার্গেনি, ছোট জিরিয়া, মুরগ্যাধি, কোম্বডাক ও পাতারি অন্যতম।

এ ছাড়া অন্য প্রজাতির পাখির মধ্যে আছে মানিকজোড়, কলাই, ছোট নগ, জলপিপি, নাকতা, খঞ্জনা, চিতাটুপি, লাল গুড়গুটি প্রভৃতি। দুই ধরনের পাখির আগমন হয় এ ক্যাম্পাসে। এক ধরনের পাখি থাকে ডাঙায় বা ডালে। আরেক ধরনের পাখি থাকে পানিতে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পাখিই ছোট সরালি। আর বাকিদের মধ্যে রয়েছে বড় সরালি, ল্যাঞ্জা হাঁস, খুন্তে হাঁস, ভূতি হাঁস ও ঝুঁটি হাঁস ইত্যাদি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত