ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিপিএলের প্রথম পর্বে ব্যাটে-বলে এগিয়ে দেশী ক্রিকেটাররা

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৫৮

বিপিএলের প্রথম পর্বে ব্যাটে-বলে এগিয়ে দেশী ক্রিকেটাররা

অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ২১ জানুয়ারি পর্দা উঠে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের। চলমান বিপিএলে অনেক কিছুই নেই তার মধ্যেও চলছে মাঠের খেলা। চলমান এই আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে তিনটি ভেন্যুতে। ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটে। ইতিমধ্যে ঢাকায় প্রথম পর্বে চার দিনে ৮ ম্যাচ শেষ হয়েছে।

আর এই ম্যাচ গুলোতে বল কিংবা ব্যাট হাতে আধিপত্য করেছে দেশের ক্রিকেটাররা। ঢাকার প্রথম পর্বে সর্বোচ্চ রান কিংবা সবচেয়ে বেশি উইকেট; সব দেশি ক্রিকেটারদের দখলে।

আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে বিপিএলের দ্বিতীয় পর্ব। তবে ঢাকা পর্বের ৮ ম্যাচ শেষে রান-উইকেটের কাটাছেড়া করতে গিয়ে উঠে এসেছে দেশি ক্রিকেটারদের উজ্জ্বল পারফর্ম্যান্স। ব্যাট হাতে দেশি ব্যাটসম্যানরা যদিও পিওর টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং করতে পারছেন না। কিন্তু বল হাতে দেশিদের দাপট চোখে পড়ার মতো।

পাঠকদের জন্য ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে এখন পর্যন্ত বিপিএলের সেরা পাঁচ পারফর্মারদের তুলে ধরা হল।

সেরা ৫ ব্যাটারের মধ্যে তিন জন দেশি

১। মিনিস্টার ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ - ৪ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ১২৪। সর্বোচ্চ রান ৪৭। তবে কোনো ফিফটি-সেঞ্চুরি নেই। স্ট্রাইক রেট ১২৬.৫৩।

২। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিনি হাওয়েল - ৩ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ১১২। সর্বোচ্চ রান ৪৭। তারও কোনো ফিফটি-সেঞ্চুরি নেই। স্ট্রাইক রেট ১৮৯.৮৩।

৩। মিনিস্টার ঢাকার তামিম ইকবাল - ৪ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ১০৫ রান। সর্বোচ্চ রান ৫২। তবে তার রয়েছে দুটি ফিফটি, সেঞ্চুরি নেই। স্ট্রাইক রেট ১১১.৭০।

৪। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের উইল জ্যাকস - ৩ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ৭৪ রান। সর্বোচ্চ রান ৪১। তার কোনো ফিফটি-সেঞ্চুরি নেই। স্ট্রাইক রেট ১৪৫.০৯।

৫। মিনিস্টার ঢাকার শুভাগত হোম - ৪ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ৭২ রান। সর্বোচ্চ ২৯। কোনো ফিফটি-সেঞ্চুরি নেই। স্ট্রাইক রেট ১২২.০৩।

অন্যদিকে সেরা ৫ বোলারের চারজনই বাংলাদেশি

১। সিলেট সানরাইজার্সের নাজমুল ইসলাম অপু- ২ ম্যাচ খেলে শিকার করেছেন ৭ উইকেট। সর্বোচ্চ ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ইকোনমি ৪.৩৭।

২। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মেহেদি হাসান মিরাজ- ৩ ম্যাচ খেলে শিকার করেছেন ৬ উইকেট। সর্বোচ্চ ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ইকোনমি ৭.৪১।

৩। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের শরিফুল ইসলাম- ৩ ম্যাচ খেলে শিকার করেছেন ৬ উইকেট। সর্বোচ্চ ৩৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ইকোনমি ৮.৩৬।

৪। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের নাহিদুল ইসলাম- ২ ম্যাচ খেলে শিকার করেছেন ৫ উইকেট। সর্বোচ্চ ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ইকোনমি ৩.১২।

৫। ফরচুন বরিশালের আলজারি জোসেফ- ২ ম্যাচে খেলে শিকার করেছেন ৫ উইকেট। সর্বোচ্চ ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ইকোনমি ৯.৪২।

বাংলাদেশ জার্নাল/আইএইচ/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত