ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ব্যাডমিন্টনে নাটকীয়তার নির্বাচন

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৩২

ব্যাডমিন্টনে নাটকীয়তার নির্বাচন

ব্যাডমিন্টন নির্বাচন স্থগিতের গুঞ্জন উঠে ছিলো। সাধারণ সম্পাদক পদে তিনের অধিক প্রার্থী আলোচনায় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হচ্ছে। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী নেমে এসেছেন তিনজনে।

একদিকে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের আমির হোসেন বাহার এবং অন্যদিকে জাতীয় পুরস্কার পাওয়া সাবেক খেলোয়াড় ও সাধারণ সম্পাদক জোবায়েদুর রহমান রানা। এই পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন অ্যাডহক কমিটির বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার।

তবে তার প্রার্থীতা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রতিপক্ষ দুইজন। কারণ মনোনয়ন সংগ্রহের আগে তিনি নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। যা জমা পড়েছে বুধবার। এছাড়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর ফেডারেশনের প্যাড এবং পদ ব্যবহার করে নির্বাচন স্থগিতের জন্য ক্রীড়া পরিষদের আবেদনও করেছেন শিকদার।

ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের জমা দেয়া ২৬টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে প্রত্যাহার করেছেন নেত্রকোনার কাউন্সিলর, সাবেক শাটলার ও বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি কামরুনন্নেছা আশরাফ দিনা। বরগুনার আলমগীর হোসেনও ওই পদ থেকে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে এই দুই জন ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন।

কামরুনন্নেছা আশরাফ দিনা বলেন, ব্যাডমিন্টনের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। তাই মিলেমিশে কাজ করার স্বার্থে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারীদের ক্ষমতায়নে নির্দেশনার দিকটি বিবেচনা করে এবং ব্যাডমিন্টন খেলার উন্নয়নে আমি কাজ করে যেতে চাই।

এই প্যানেলের সদস্য পদ থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আনসারের রায়হানউদ্দিন ফকির। বাহার বলেন, আমার সময়ে বিশ্ব জুনিয়র র‌্যাংকিংয়ে সিবগাতুল্লাহ ১১তম, মেয়েদের দ্বৈতে ১১তম, এককে ২০তম এবং নারীদের দলগত ভাবে ৩৪ নম্বর অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তাছাড়া আমি ফেডারেশনকে শাটলারদের অভয়ারন্য বানাতে চাই।

অন্যদিকে জোবায়েদুর রহমান রানার প্যানেল থেকে চারটি মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে। রানার সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই পদে মনোনয়ন জমা ছিলো। সেখান থেকে তিনি সহ-সভাপতি উত্তোলন করেছেন। ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এই সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। রানার কথা, ‘ফেডারেশনের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। শাটলারদের মানোন্নয়ন ঘটাতে চাই।’

অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম শিকদার একের পর এক নাটকীয়তা করেই চলছেন। কাল নির্বাচন কমিশন যখন প্রত্যাহার পত্র গ্রহণ করছিলো, তখন তার অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগপত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় ফেডারেশনের অফিস সহকারী।

কবির শিকদারের মনোনয়নপত্র বৈধতা ও পদত্যাগ পত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উপস্থিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জোবায়েদুর রহমান রানা। কারণ ২০ জানুয়ারি ছিল মনোনয়ন পত্র জমার দিন। সেই দিন অ্যাডহক কমিটি থেকে নির্বাচন করা প্রার্থীরা মনোনয়নের সঙ্গে পদত্যাগ পত্রও দিয়েছেন। স্বতন্ত্রভাবে সেই দিন মনোনয়ন জমা দেয়া কবির শিকদার তখনও দেননি।

ফলে দৃশ্যত সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রার্থী। চার সহ-সভাপতি পদের বিপরীতে প্রার্থী সাত জন, দুই যুগ্ম সম্পাদকের বিপরীতে তিনজন, এক কোষাধ্যক্ষ পদের বিপরীতে দুই জন ও ১৬ সদস্যের বিপরীতে ২৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ৩১ জানুয়ারি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ১০২ কাউন্সিলরের ভোটে ২৪ পদের নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আইএইচ/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত