ফিফার হুঁশিয়ারিতে ইউরোপের ৭ দেশের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২২, ২০:৫৩
সমকামিদের সমর্থনে কাতার বিশ্বকাপে ইউরোপের সাত দেশের অধিনায়করা ‘ওয়ানলাভ’ আর্মব্যান্ড পরার সিন্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ফিফার দেয়া হলুদ কার্ডের হুঁশিয়ারি জন্য অবস্থানের পরিবর্তন করল।
কাতারের সমকামিতা নিষিদ্ধ হওয়ায় বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মতামতকে প্রচারের উদ্দেশ্যে বেশ আগেই এলজিবিটি (সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী) সম্প্রদায়ের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্বকাপে বহু রঙের এই আর্মব্যান্ড পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড, ওয়েলস, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি ও ডেনমার্কের অধিনায়করা।
আয়োজক কাতার মুসলিম দেশ হওয়ায় সমকামিতা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ নিয়ে কঠোর অবস্থানে দেশটি। সমকামিদের প্রশ্রয় দিবেন না বলেও জানান আয়োজক কমিটি। কাতারের সাথে সহঅবস্থানে ফিফাও।
বিশ্বকাপের আগে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানায় ইউরোপের বেশ কয়েকটি এলজিবিটি সংস্থা। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ইউরোপের এই দেশগুলো।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে সোমবার ইরানের বিপক্ষে বিশেষ ওই আর্মব্যান্ড পরার ইচ্ছার কথা বলেছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন। তবে কোনো অধিনায়ক এমন কিছু করলে তাকে হলুদ কার্ড দেখানো হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ফিফা।
ইরানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ম্যাচের কয়েক ঘন্টা আগে সাত ইউরোপিয়ান দেশ যৌথ বিবৃতিতে নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলের কথা জানায়।
ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশন (এফএ) তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে তারা। সেখানে বলা হয়, ফিফা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছে যে, মাঠে ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড পরলে কার্ড দেখতে হতে পারে অধিনায়ককে। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের এমন কোনো অবস্থানে ঠেলে নিতে পারি না যাতে তাদের কার্ড দেখতে হয়। তাই আমাদের অধিনায়ককে বলবো ফিফা বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে এই আর্মব্যান্ড যেন না পরা হয়।
আরও পড়ুন: আর্মব্যান্ডের জন্য হলুদ কার্ড দেখতে পারেন কেইন ও বেল
ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশন আরও বলে, আর্মব্যান্ড পরার মানে নিজেদের অবস্থানের শক্তভাবে থাকা। এই অবস্থান নিতে গিয়ে অর্থদণ্ড দেয়ার ব্যাপারেও আমরা প্রস্তুত ছিলাম। তবে আমরা চাই না খেলোয়াড়দের এমন জায়গায় নিয়ে যেতে যেখানে তাদেরকে মাঠে কার্ড দেখানো হয় কিংবা, মাঠ ছেড়ে যাওয়ার মতো ক্ষেত্র তৈরি হয়। তবে ফিফার এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমরা হতাশ। এটা অভূতপূর্ব। গত সেপ্টেম্বরেই এই আর্মব্যান্ড পরিধানের ইচ্ছের কথা জানিয়ে আমরা ফিফার কাছে চিঠি দিয়েছি। তবে তার কোনো সাড়া পাইনি। এ অবস্থায় আমাদের খেলোয়াড় এবং কোচ হতাশ। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রচারণার সমর্থক তারা। আর এটার প্রদর্শন মাঠেই দেখাতে চেয়েছিল ইংল্যান্ড।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই