ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইরানকে ৬ গোলে বিধ্বস্ত করলো ইংল্যান্ড

  ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২২, ২১:৩৫  
আপডেট :
 ২১ নভেম্বর ২০২২, ২২:১১

ইরানকে ৬ গোলে বিধ্বস্ত করলো ইংল্যান্ড
গোল উৎসবে ইংল্যান্ড দল । ছবি: ইন্টারনেট

ইরানকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে কাতার বিশ্বকাপের মিশন শুরু করল ইংলিশরা। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ইরানকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। ইংলিশদের ইংল্যান্ডের হয়ে জোড়া গোল করেন বুকায়ো সাকা। এছাড়া একটি করে গোল করেন জুডি বেলিংহাম, রাহিম স্টারলিং, মার্কাস রাশফোর্ড ও জ্যাক গ্রিলিস। ৭৯ শতাংশ বল দখলে রাখার পাশাপাশি ইরানের চেয়েও দ্বিগুণ আক্রমণ সংগঠিত করেছে থ্রি লায়নসরা। ইরানের হয়ে জোড়া গোল করেন মেহদি তারেমি।

সোমবার খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপে দিনের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে ইংল্যান্ড-ইরান। শক্তি কিংবা বিশ্বমঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা, দুটোতেই এগিয়ে থেকে ইরানকে উড়িয়ে দিয়েছে হ্যারিকেনরা।

ম্যাচের শুরুর ৮ মিনিটেই বড় ধাক্কা খায় ইরান। ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন দলটির শুরুর একাদশে থাকা গোলরক্ষক আলিরেজা বেইরনভান্দের। ইংল্যান্ডের দলীয় আক্রমণ প্রতিহত করতে এগিয়ে গেলে সতীর্থ ফুটবলারের সঙ্গে আঘাত লেগে রক্তাক্ত হন।

সংঘর্ষে নাক ফেটে যায়। অনেকটা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু বেশিক্ষণ পারেননি। একটু পরই শুয়ে পড়েন মাঠে। ম্যাচের ১৯তম মিনিটে আর না পেরে মাঠ ছাড়েন ইরানের এই গোলরক্ষক। স্ট্রেচারে করে তাকে নেওয়া হয় মাঠের বাইরে। তার জায়গায় হোসাইন হোসেইনি মাঠে নামেন।

ম্যাচের শুরু থেকেই বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করে ইংল্যান্ড। অবশেষ খেলার ৩৫ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন বেলিংহ্যাম। দুরন্ত হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ১৯ বছরের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। লুক শ’র দারুণ এক ক্রস দেন। লাফিয়ে মাথা ছুঁইয়ে গোল দেন তিনি। ১৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার এই গোল করে এখন বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্ব কনিষ্ঠ গোলদাতা হলেন। এটি জাতীয় দলের হয়ে তার প্রথম গোলও।

এরপর ৪৩তম মিনিটে বুকায়ো সাকা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইংল্যান্ডের। কর্নার থেকে ডি-বক্সে ম্যাগুইয়ারের হেড পাসে লক্ষ্যভেদ করেন আর্সেনালের তরুণ ফরোয়ার্ড। যেখানে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত প্রথম মিনিটে অসাধারণ এক গোল করেন রাহিম স্টারলিং। হ্যারি কেইনের নিচু ক্রসে গোলটি করেন চেলসি ফরোয়ার্ড।

প্রথমার্ধের আক্রমণের ধারা দ্বিতীয়ার্ধে অব্যাহত রাখে ইংলিশরা। যেখানে ৬২তম মিনিটে জোড়া গোল পূর্ণ করেন সাকা। তবে ৩ মিনিট পরেই দারুণ এক দলীয় আক্রমণে ব্যবধান কমান ইরানের তারেমি। কিন্তু ৭১তম মিনিটে রাশফোর্ড বদলি নেমে ৪৯ সেকেন্ডে গোল করেন। বদলি খেলোয়াড় হিসেবে ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি তৃতীয় দ্রুততম। আর নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ইরানের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন গ্রিলিশ। তবে ৯৭ তম মিনিটে (৯০+৭ ইনজুরি টাইম) আরেকটি গোল পেতে পারতো ইরান। কিন্তু সরদার আজমাউনের শটটি অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন জর্ডান পিকফোর্ড।

তবে নাটকীয়তা তখনও কমেনি। ইরান একটি ফ্রি-কিক পায়। কিন্তু বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন ইংল্যান্ড খেলোয়াড়রা। যার ফলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ইনজুরি সময়ের একেবারে শেষ মিনিটে শট নেন মেহেদী তারেমি এবং দ্বিতীয় গোল করে ইরান।

কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথমম্যাচে ইংল্যান্ডের বড় জয় ঠেকাতে পারেনি ইরান। শেষ অবধি ৬-২ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড। দুই দেশের প্রথম সাক্ষাতে ইরানকে ৫-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েই মাঠ ছাড়ে ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। ইরানের গোলরক্ষক আলিরেজা বেইরানভান্ডের ইনজুরির কারণে সময় নষ্ট হওয়ায় দুই অর্ধে মোট ২৪ মিনিট ইনজুরি টাইম দেন রেফারিরা। প্রথমার্ধে দেন ১৪ মিনিট, দ্বিতীয়ার্ধে দেন ১০ মিনিট।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত